কৈ মাছ চাষে ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোন ধারণা নেই। কৈ মাছ চাষে লাভবান হওয়ার জন্য এই মাছের ঋতুভিত্তিক ঝুঁকি মোকাবেলা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলুন আজ জেনে নেই কৈ মাছ চাষে ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে-
কৈ মাছ চাষে ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয়ঃ
কৈ মাছ চাষে ঋতুভিত্তিকসহ আরও অনেক ঝুঁকি রয়েছে। সেই ঝুঁকিগুলো মোকাবেলার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল-
বর্ষাকালীন ঝুঁকিঃ
কৈ মাছ চাষের ঋতুভিত্তিক ঝুঁকিগুলোর মধ্যে বর্ষাকাল অন্যতম। এই সময় অতিবৃষ্টি বা বন্যা হলে চাষের পুকুর থেকে সমস্ত মাছ বের হয়ে যেতে পারে। আবার বর্ষায় কৈ মাছ অল্প বৃষ্টিতে পুকুরের পাড় দিয়ে উঠে যেতে পারে। তাই এই সমস্যা সমাধানে পুকুরের পাড় দিয়ে উচু বেড়া কিংবা নেটের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে পুকুর থেকে কৈ মাছ উঠে যেতে পারবে না।
শীতকালীন ঝুঁকিঃ
শীতকালে কৈ মাছ চাষে যেসব ঝুঁকি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কৈ মাছের রোগ অন্যতম। শীতকালে কৈ মাছের রোগ প্রতিরোধের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুকুরের তাপমাত্রা কমে গেলে তাপমাত্রা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
মাছ চুরিঃ
পুকুর থেকে মাছ চুরি হওয়া আমাদের সমাজের সাধারণ একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে পুকুরের মাছ বড় হলে চুরি হওয়ার আশংকা আরও বেড়ে যায়। তাই কৈ মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছ বড় হলেই তা আহরণ করতে হবে। মাছ চুরির সমস্যা সমাধানে পুকুরের আশপাশের লোকজনদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে। আরও ভাল হয় যদি রাতে পুকুরে আলোর ব্যবস্থা করা ও পাহাড়া দেওয়ার।
ক্ষতিকর গ্যাসঃ
পুকুরে কৈ মাছ চাষে আরেকটি বড় ঝুঁকি হল ক্ষতিকারক গ্যাস। পুকুরের ক্ষতিকারক গ্যাস দূর করতে না পারলে মাছ রোগে আক্রান্ত হয় এমনকি মারাও যায়। এই সমস্যা সমাধানে পুকুরের তলদেশের গ্যাস অপসারণের হররা টেনে দিতে হবে। পুকুরে গ্যাসের সমস্যায় শতক প্রতি ২৫০ গ্রাম করে চুন প্রয়োগ করতে হবে। সম্ভব হলে পুকুরের বিষাক্ত কাঁদা অপসারণ করতে হবে ও পানি পরিবর্তন করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১২মার্চ২০