কোরবানির বাজারে অসুস্থ ও সুস্থ গরু চেনার উপায়

1312

চকচকে চামড়ার যে গরুটি আপনার নজর কেড়েছে, তা দেখতে স্বাস্থ্যবান হলেও গরুটি সুস্থ হবে এমন কিন্তু নাও হতে পারে।
তাই গরু কেনার আগে সাবধান !

আমরা অনেকেই জানি, গরু মোটাতাজা করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিতে পরিমিত পরিমাণে নির্ধারিত সময়ব্যাপী ইউরিয়া, চিটাগুড়, খড় মিশিয়ে গরুকে খাওয়ানো হয়, যা ইউএমএস (UMS) পদ্ধতি নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে গরুকে মোটাতাজা করতে সাধারণত চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগে। অথচ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ঈদের বাজারে ভালো দাম পেতে স্বল্প খরচে অল্প দিনে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে গরুকে মোটা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোন ইনজেকশন, ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন।
এরকম অবৈধ উপায়ে মোটাতাজা করা গরু চেনার কিছু উপায় আছে, যেমনঃ কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মোটাতাজা করা গরুর গায়ে আঙুলের চাপ দিলে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশি সময় লাগবে।

পাশাপাশি দেখতে হবে গরু চটপটে কিনা। কারন শরীরে পানি জমার কারণে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুগুলো এক জায়গায় বসে থাকে, নড়াচড়া কম করে। ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দেখতে হবে। ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মনে হয় যেন হাঁপাচ্ছে আর প্রচণ্ড ক্লান্ত দেখায়। ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর আরেকটি লক্ষণ হল মুখে অতিরিক্ত লালা বা ফেনা থাকা।

তাহলে উপরের আলোচনা থেকে আমরা কয়েকটি বিষয় জানতে পারলাম, যা দেখে আমরা ভেজাল বা অসুস্থ গরু সহজেই চিনতে পারি।
১. ঝিমানো আর ক্লান্ত ভাব, পা ও মুখ ফোলা থাকবে।
২. গরুর সিনার হাড় সহজে চোখে পড়বে না।
৩. রানের মাংসে চাপ দিলে চামড়া বা মাংস দেবে যাবে। সাথে সাথে তা সমান হয়ে উঠবে না।
৪. হাঁপাবে এবং মুখে অতিরিক্ত ফেনা জমে থাকবে।
ভেজাল বা অসুস্থ গরু চিনতে উপরের এই লক্ষণগুলো যেমন খেয়াল রাখবেন, অপরদিকে সুস্থ গরু চিনতে নীচের চিত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলোও মনে রাখবেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮জুলাই২০