ক্ষীরা চাষে লাভবান কুমিল্লার চরের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ক্ষীরার ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন ক্ষীরা চাষ বাড়ছে এ অঞ্চলে। ক্ষীরা চাষ করে অনেক কৃষকাই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫৬০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার চাষ হয়েছে। উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন ক্ষীরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। মেঘনার লুটেরচর, বাটেরচর, আনারপুরা ও বড়াইকান্দি চরে ক্ষীরার চাষাবাদ করা হয়েছে। সবুজ ক্ষীরা গাছে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ক্ষীরা উঠতে শুরু করেছে।
উপজেলার চাষিরা বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে ক্ষীরা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এ চাষাবাদের প্রতি তাদের ঝোঁক। ১ বিঘা জমিতে ক্ষীরার চাষ করতে ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারজাত করতে শ্রমিক খরচ আরও ৮ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়।
মেঘনায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ধু-ধু চরের চারদিকে শুধু ক্ষীরা আর ক্ষীরা ক্ষেত। নারী, পুরুষ ও শিশু ক্ষীরা ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত। কেউবা ক্ষীরা তুলছে, কেউবা ক্ষীরা বাছাই করছে, আবার কেউবা বস্তায় ভরছে। বাটেরচরের ক্ষীরা ক্ষেতে কথা হয় রফেজা বেগমের সঙ্গে। তার কথা, ‘আমার বাপ গরিব মানুষ। ক্ষীরা ক্ষেত কইরা চারটা ডাল-ভাত পেটে দিবার পারি। এইডা আমাগ সুখ।’
কুমিল্লার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, ‘আমরা কৃষি অফিস থেকে ক্ষীরা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার কারণে দিন দিন ক্ষীরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন এখানকার চাষিরা।’