খরগোশ পালনের আগে যেসব বিষয় জানা দরকার সেসব বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-
১। খরগোশ নিরীহ-শান্তশিষ্ট, দ্রুত উৎপাদনশীল,দ্রুত বর্ধনশীল ও তৃণভূজী প্রাণি,
২। খরগোশ বাঁচে ৯ থেকে ১২ বছরের বেশি,
৩। সদ্য জন্মকৃত (new born baby) বাচ্চা খরগোশকে কিট/কিটেন ( kit/kitten) বলে,
৪। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ খরগোশকে বাক (Buck) বলে ,
৫। পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী খরগোশকে ( Doe) বলে,
৬। খরগোশের গর্ভাকালীন সময় ( Gestation period) ২৯ থেকে ৩২ দিন,
৭। বাচ্চা প্রসব কালীন সময় (Delivery time) ৩০ থেকে ৪০ মিনিট,
৮। মা খরগোশ বাচ্চাকে দিনে ১ থেকে ২ বার দুধ খাওয়ায়,
৯। মা খরগোশ বাচ্চাকে ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত দুধ খাওয়ায়,
১০। বাচ্চা প্রসবের ৭ দিন বয়স থেকে লোম (Fur) গজাতে শুরু করে,
১১। বাচ্চা জন্মের ২ দিন বয়স থেকে কান ফুটতে অর্থাৎ শুনতে শুরু করে,
১২। বাচ্চা জন্মের ১০ দিন বয়সে চোখ ফুটতে শুরু করে বা দেখতে শুরু করে,
১৩। ব্রিডের ধরণ অনুযায়ী ৩ থেকে ৮ মাস বয়সে সেক্সুয়াল ম্যাচুরিটি লাভ করে,
১৪। স্ত্রী-পুরুষের মিলন সময় ( Mating time) ২০থেকে ৪০ সেকেন্ড,
১৫। খরগোশের ব্রিডিং সময় বছরের শেষ তিন চতুর্থাংশ সময়ে,
১৬। প্রতি সিজনে একটি স্ত্রী খরগোশ বছরে প্রায় ৪৮থেকে ৭০ টি বাচ্চা দিতে সক্ষম,
১৬। সারা জীবনে একটি স্ত্রী খরগোশ প্রায় ১০০০ টি বাচ্চা দিতে সক্ষম ,
১৭। একটি স্ত্রী খরগোশ এক সাথে ২ থেকে ৮ টি বাচ্চা দিতে সক্ষম,
১৭। স্ত্রী খরগোশ বছরে ৬ থেকে ৮ বার বাচ্চা দিতে সক্ষম ।তবে বছরে একটি স্ত্রী খরগোশ থেকে ৮ বারের বেশি বাচ্চা নেওয়া উচিত নয় ।
১৮। পুরুষ ও স্ত্রী খরগোশের ব্রিডিং এর জন্য ১০ টি স্ত্রী খরগোশের জন্য ১ টি পুরুষ খরগোশ প্রয়োজন,
১৯। ব্রিডিং এর সময় স্ত্রী খরগোশকে পুরুষ খরগোশের খাঁচায় ছেড়ে দিতে হবে ।স্ত্রী খরগোশের কাছে পুরুষ খরগোশকে ছেড়ে দিলে পুরুষ খরগোশ স্ত্রী খরগোশের সাথে মিলিত হবে না ।
২০। বাচ্চা জন্মের পর বাচ্চা খরগোশকে নাড়াচাড়া করা যাবে না ।এতে মানুষের হাতের নাড়াচাড়ার কারণে বাচ্চার গায়ের গন্ধ নষ্ট হবে ।ফলে মা খরগোশ আর সে বাচ্চার কাছে বসবে না ও দুধ খাওয়াবে না,
২১। একটি পুরুষ খরগোশ দিনে ২থেকে ৩ বারের বেশি যৌন মিলন করবে না,
২২। একটি স্ত্রী খরগোশের শরীরে ৮ থেকে ১২ টি বাঁট থাকে ।অর্থাৎ এক সাথে ১২ টি বাচ্চা মা খরগোশের বুকের দুধ পান করতে পারবে,
২৩। মৃত বাচ্চা প্রসব করলে সাথে সাথে তা সরিয়ে নিতে হবে,
২৪। বাচ্চা জন্মের সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাত্রে অথবা খুব ভোরে,
২৫। পিপড়া ,কুকুর ও বিড়াল থেকে খরগোশকে সর্বদা দূরে রাখতে হবে,
২৬। খরগোশের খাঁচার বিষ্ঠা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে ।কারণ এতে এমোনিয়া গ্যাসের প্রাদুর্ভাব থাকলে খরগোশ নানা ধরনের রোগের শিকার হবে ,
২৭। খরগোশকে মাইট ইনফেস্টেশন থেকে রক্ষা করতে হবে,
২৯। পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী ও পুরুষ খরগোশ সম্পূর্ণরূপে আলাদাভাবে পালন করতে হবে ।তা না হলে একে অপরের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হবে,
৩০। খরগোশের খাঁচা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।ফ্রেস খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে ।পর্যাপ্ত আলো ও মুক্তভাবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে ।
৩১। খরগোশ দিনে ৮.৫ ঘন্টা ঘুমায় ।