নাটোরের গুরুদাসপুরে শিকারির খাঁচা থেকে উদ্ধার করে প্রায় পাঁচ শতাধিক পাখি মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুরুদাসপুর উপজেলার হাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি বড় খাঁচা ও একটি জাল থেকে বস্তাবন্দি পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিগুলো মুক্ত আকাশে অবমুক্ত করেন গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি আইনজীবী এসএম শহিদুল ইসলাম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান।
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সোহেল জানান, শুক্রবার দুপুরে হাজিরহাট এলাকা থেকে স্থানীয়রা জানান, চারটি বড় খাঁচা ও একটি নেটের (বস্তার) মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক পাখি কিছু অসাধু ব্যক্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে দিচ্ছেন। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবেশকর্মীদের নিয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় শিকারিরা পাখি ফেলেই পালিয়ে যান।
এসময় সাদা বক, মাছরাঙা, ভারই, ঘুঘু, বালিহাঁস, রাতচোরাসহ প্রায় সাত প্রজাতির পাখি দুটি খাঁচা ও একটি নেটের বস্তাসহ উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাস্থলেই পাখিগুলো মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ৫০টির মতো পাখি বস্তাবন্দি থাকার কারণে দুর্বল ছিল। সেগুলোকে সুস্থ করে চাঁচকৈড় বাজার এলাকায় নিয়ে এসে অবমুক্ত করা হয়। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। সবাই সচেতন হলে শিকারিরা আর পাখি শিকার করতে পারবে না। পাখি শিকার বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাখি শিকারিরা আবার যেন পাখি শিকার করতে না পারে, সে বিষয়ে স্থানীয়দের সজাগ থাকার আহ্বান জানান এই পরিবেশকর্মী। সংগঠনটি চলনবিল এলাকায় জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পাখি শিকার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে।