খামারিরা পাচ্ছেন ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রণোদনা

471

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহীর ৮ হাজার ২৪১ জন খামারি পেলেন ৯ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৫ টাকার আর্থিক প্রণোদনা। জেলার ৯টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারিরা এ সহায়তা পাচ্ছেন।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (নগদ, বিকাশ) মাধ্যমে এ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) থেকে জরুরি কার্যক্রমের আওতায় খামারিদের এ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত গরু, লেয়ার, সোনালী, ব্রয়লার ও হাঁস খামারিদের আর্থিক ক্ষতি পোষাতেই এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের মধ্যে জেলার পবা উপজেলার ৬৩৬ জন, বাঘা উপজেলার ৯৪১ জন, চারঘাট উপজেলার ৪২৭ জন, দুর্গাপুর উপজেলার ৪৬২ জন, গোদাগাড়ী উপজেলার ৫৪৫ জন, মোহনপুর উপজেলার ৮৯০ জন, পুঠিয়া উপজেলার ৫৭৮ জন, তানোর উপজেলার ৫৫৯ জন এবং সবচেয়ে বেশি পবা উপজেলার ৩ হাজার ২০৩ জন পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারি এই প্রণোদনা তালিকার অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই এই অর্থ পাবেন।

৯টি উপজেলায় মোট ৫ হাজার ২০২টি ডেইরি খামারি, ১ হাজার ১৩২ জন সোনালী মুরগি খামারি, ৭২১ জন ব্রয়লার মুরগি খামারি, ৮৯২ জন লেয়ার মুরগি খামারি এবং ১০৯ টি হাঁসের খামারি রয়েছে। এরমধ্যে ডেইরি ক্যাটাগরিতে সি-১ (২-৫ টি গরু বিশিষ্ট খামার) রয়েছে ৩ হাজার ৯৬৫ জন, সি-২ (৬-৯টি গরু) খামারি রয়েছে ১ হাজার ১১৪ জন এবং সি-৩ (১০-২০ টি গরু) খামারি রয়েছে ১২৩ জন। জেলায় ডেইরি খামার রয়েছে সর্বাধিক।

প্রথম পর্যায়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ জন খামারিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মোট ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। খামারিদের আর্থিক পরিমাণ খামারের ক্যাটাগরি/সাব ক্যাটাগরি অনুযায়ী পাবেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১মার্চ২০২১