তুলসী গাছ ভেষজ চিকিৎসায় একটি অনন্য উপাদান। এই তুলসীর যে কত গুণ আছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
প্রায় সব জায়গাতেই এটা কম বেশী পাওয়া যায়।
তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে,যা ক্যান্সার প্রতিরোধে পর্যন্ত কাজ করে।শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও দারুন ভূমিকা তুলসীর।ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুনাশকের কাজ করে তুলসী পাতা।
১। আপনি হঠাৎ দেখলেন আপনার গোয়ালের গরু বা বাছুর পেটের ব্যাথায় কাৎরাচ্ছে। একবার উঠছে,একবার বসছে।
অর্থাৎ ব্যাথায় সে অস্থির। ঠিক সেই মুহুর্তে আপনি কি করবেন? চিন্তার কিছু নেই, আপনি বড় বা মাঝারী আকারের গরুকে ৩০ মি:লি: এবং বাছুর বা ছোট গরুকে ২০ মি:লি: তুলসী পাতার রস খাইয়ে দিন, ইনশাআল্লাহ ব্যাথা চলে যাবে। এটা ৬ ঘন্টা পর পর তিন বার দিবেন।
২। আপনি দেখলেন যে,আপনার গাভী বা বাছুরের গায়ে জ্বর বা সামান্য কাশি হয়েছে। হাতের কাছে ডাক্তার বা ওষুধপাতি নেই।
কোন দুশ্চিন্তা করবেন না, গাভীকে ৩০ মি:লি: তুলসী পাতার রসের সাথে চার চা চামচ মধু মিশিয়ে ৩/৪ বেলা খাইয়ে দিন,ইনশাআল্লাহ সেরে যাবে। বাছুরের ক্ষেত্রে পথ্যের পরিমাণ টা অর্ধেক হবে।
৩। হঠাৎ দেখলেন আপনার গরু বা বাছুরটি কোন কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শরীরের উপরিভাগে হাল্কা ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
দুশ্চিন্তার কিছুই নেই,কিছু তুলসী পাতা বেঁটে একটা পেস্টের মত তৈরী করে ক্ষততে লাগিয়ে দিন,২/৩ দিন লাগালেই ক্ষত সেরে যাবে।
তুলসী পাতার পেস্ট কিন্তু ইনফেকশন রোধেও কাজ করে।
৪। আপনি দেখলেন যে, আপনার খামারের বাছুরটি কৃমিতে আক্রান্ত, কৃমিনাশক ওষুধপাতি নেই হাতের কাছে অথবা আপনি এলোপ্যাথিক ওষুধ দিতে চাচ্ছেন না।
কোন সমস্যা নেই তাতে,তুলসী পাতা ও মুলের রস বের করে ১৫ মি:লি: আন্দাজ নিয়ে খাইয়ে দিন খালি পেটে বাছুরকে, কৃমিনাশক ওষুধের কাজ করবে।
প্রথম বার খাওয়ানোর ৭ দিন পর আবার খাওয়াবেন। ভালো কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।
এভাবে তুলসী গরু বাছুরের অনেক রোগের ওষুধ হিসাবে কাজ করে,যার জুড়ি নেই বললেই চলে।
তাই যারা গরু পালনের সাথে যুক্ত তারা অবশ্যই বাড়ির আশে পাশে কিছু তুলসী গাছ লাগাবেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২৪মার্চ২০