খামারে ঘুচেছে বেকারত্ব

306

সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ব্যক্তি উদ্যোগে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ছাগলনাইয়ার বেকার ও বিদেশফেরত যুবক-তরুণরা। কোনো ধরনের পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়াই তারা আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার পোলট্রি, ডেইরি, হাঁস, ছাগল, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রাণীর ছোট, বড় ও মধ্যম সারির খামার। ফলে এলাকায় কমেছে বেকারত্বের হার।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে শিক্ষিত বেকাররা বাড়ির ছাদ, পতিত জমি, খালের পাড়ে এসব উৎপাদনশীল ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ খামার গড়ে তুলে নিজেকে যেমন সচ্ছল করেছেন, তেমনি পরিবারকেও করেছেন স্বাবলম্বী। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মাছ, মুরগি, ডিম এলাকার চাহিদা পূরণ করে খামারিরা বিক্রি করছেন উপজেলা, জেলা ও বিভাগব্যাপী। ফেনী জেলা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদর থেকে শত শত গাড়ি প্রতিদিন রাতে ও ভোরে এসে নিয়ে যাচ্ছে এসব খামারের পণ্য।

হউপজেলা সদর পৌরসভা, (মহামায়া, রাধানগর, শুভপুর, ঘোপাল, পাঠাননগর) পাঁচ ইউনিয়নে ৫৪টি ওয়ার্ড ঘুরে এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কার্যালয়ের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে প্রায় ছয় হাজার। ডেইরি বা গরুর খামার রয়েছে এক হাজার। ছাগল ও অন্যান্য মিলে আছে দেড় হাজারের মতো। সবচেয়ে বেশি খামারি রয়েছেন ঘোপাল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে।

কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ হাজার লোকের। চলতি বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে খামারিদের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দুই হাজার খামারিকে প্রণোদনা দিয়েছে।\হউপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার অসংখ্য খামার গড়ে উঠেছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৭ জুন ২০২১