খামার শুরু করবেন কিভাবে?

1599

নতুন খামারিদের বিশেষ করে যারা গরুর খামার শুরু করার কথা ভাবছেন তাদের অবশ্যই কিছু পরামর্শ মেনে তবেই কাজ শুরু করা উচিৎ। গরু পালন একটি লাভজনক ব্যবসা, তবে এই গরু পালনে আরো ব্যাপক লাভ করা সম্ভব যদি খামার শুরু আগে করণীয় গুলো সম্বন্ধে একজন খামারি সমক্য ধারণা নেন তো-

খামার শুরু করবেন কিভাবে?

১. Dairy farming is a science অর্থ্যাৎ দুগ্ধ খামার হল একটি বিজ্ঞান ব্যবস্থা। তাই টিকে থাকতে হলে প্রথম থেকেই বিজ্ঞানভিত্তিক খামার ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

২. কমার্শিয়াল চিন্তাভাবনা অর্থাৎ মনে রাখতে হবে এটি একটি ব্যবসা। তাই খামারের ভালোর জন্য যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে আবেগকে স্থান দেয়া যাবে না।
৩. খামার শুরুর আগে গরুর নেচার সম্বন্ধে জানতে হবে। এর জন্য খামার ভিজিট করতে হবে।
৪. খামার ঘুরে ঘুরে গরুর বিভিন্ন জাত সম্বন্ধে জানতে হবে ও খামারের গরুর খাবার-দাবার, যত্নাদির বিষয়গুলো ভাল ভাবে খেয়াল করতে হবে।
৫. গরুর দৈহিক ওজন ও দুধ প্রদানের উপর ভিত্তি করে গরু প্রতি দৈনিক দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাসের রেসিও বা অনুপাত জানতে হবে।
৬. খামারের জন্য উপযোগী গরু চিনতে হবে।

৭. কৃত্তিম প্রজননের মাধ্যমে খামারের ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরি করতে হবে।
৮. প্রথম তিন বছর ধৈর্য সহকারে খামারে ইনভেস্ট করে যেতে হবে।

৯. তিন বছর পর থেকে লাভ আশা শুরু করবে ও প্রতি তিন বছরে লাভের পরিমান দ্বিগুন হবে।
১0. আমরা যারা নতুন শুরু করি তারা অনেকে প্রথমেই গরু কিনি। ভাল বাসস্থান ও পর্যাপ্ত ঘাসের অভাবে একটি ভাল মানের গাভীও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এই কাজটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। সবকিছুই করতে হবে নিয়মমাফিক।

খামার ব্যবস্থাপনাঃ
১. গরু কেনার আগে অবশ্যই গরুর জন্য খোলামেলা ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. দুগ্দ্ধ খামারের জন্য বলতে গেলে ঘাস হচ্ছে ফরজ। তাই গরু কেনার আগে অবশ্যই ঘাস চাষ করতে হবে।
৩. ১০টি গাভীর জন্য এক একর বা ১০০ শতাংশ জমিতে ঘাস চাষ করতে হবে অর্থাৎ প্রতিটি গাভীর জন্য ১০ শতাংশ জমির ঘাস লাগবে।
৪. গাভীর টোটাল বডি ওয়েটের কমপক্ষে ৬% ঘাস দিতে হবে।
৫. প্রয়োজন পরিমান দানাদার খাদ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।
৬. নিজস্ব খামার থেকে উন্নত জাতের গাভী তৈরি করতে হবে।
৭. খামারের প্রতিটি গাভীর রেকর্ড মেনটেইন করতে হবে।

৮. গাভীর বাবা মা উভয়পক্ষের রেকর্ড সংগ্রহ করতে হবে।
৯. আমাদের দেশের আবহাওয়ার জন্য গাভীতে ফ্রিজিয়ানের পার্সেন্টেজ ৭৫% এর উপর হওয়া ঠিক নয়।
১০. ফ্রিজিয়ানের পার্সেন্টেজ সর্বোচ্চ ৬২.৫% রাখতে পারলে ভাল।

১১. গাভীর খাবার ব্যবস্থাপনায় হঠাৎ করে বড় ধরণের পরিবর্তন আনা যাবে না।
১২. হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে গাভীর দুধ কমে যাওয়া, খাবারে অরুচি , হজমে সমস্যা থেকে শুরু করে নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি হতে পারে।

১৩. এ ধরণের প্রতিবন্ধকতা থেকে বাঁচতে যে কোন ধরণের পরিবর্তন ৭ থেকে ১৫ দিন সময় নিয়ে আস্তে আস্তে করতে হবে।
১৪. গবাদিপশুকে নিয়মিত কৃমিমুক্ত করতে হবে।
১৫. গবাদিপশুর বিভিন্ন ধরনের রোগের ভ্যাকসিন নিয়মিত দিতে হবে।

জাতোন্নয়ন :
বর্তমানে দুধের সঠিক দাম না পাওয়ার সাথে সাথে গাভীর দামের যে উর্ধগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে নিজস্ব খামারে জাতোন্নয়নের মাধ্যমে ভাল গাভী তৈরি করা না গেলে এই সেক্টরে কোনভাবেই টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই উক্ত আলোচনায় জাতোন্নয়ন সম্পর্কে স্যারের কিছু পরামর্শ এখানে তুলে ধরছি।

১। জাত উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন বিষয় হল রেকর্ড কিপিং। অর্থাৎ জাতোন্নয়নের জন্য একটি গাভীর বাবা মা উভয়পক্ষের রেকর্ড সম্বন্ধে আপনাকে জানতে হবে।

২। আমাদের দেশে যেহেতু হাতে গোনা দু-একটি খামার ছাড়া কোথাও সেভাবে রেকর্ড মেইনটেইন করা হয় না তাই গাভীর বাহ্যিক বৈশিষ্ট ও দুধ প্রদানের উপর ভিত্তি করে গাভীতে ফ্রিজিয়ানের একটি পার্সেন্টেজ আমাদের নির্ধারন করে নিতে হবে।
৩। এ সংক্রান্ত একটি চার্ট রয়েছে যা আমরা ফরহাদ স্যার এর কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারি।
৪। প্রাথমিকভাবে ধরে নেয়া এই পার্সেন্টেজ শতভাগ নির্ভুল না হলেও সঠিক মাননিয়ন্ত্রণ মাধ্যমে কয়েক প্রজন্ম পরে এই ভুলের মাত্রা ১-২% এ নিয়ে আসা যাবে।
৫। জাত উন্নয়নের জন্য দেশি গাভীকেও ১০০% ফ্রিজিয়ান সিমেন দেয়া যাবে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই গাভীটির নূন্যতম তিন কেজির উপর দুধ হতে হবে।

৬। বাছুরকে জন্মের ওজনের ১০% হারে দুধ সরবরাহ করতে হবে অর্থাৎ কৃত্তিম প্রজননের ফলে একটি দেশী গাভী হতে প্রাপ্ত বাছুরের ওজন যদি ৩০ কেজি হয় তাহলে তাকে দিনে ৩ কেজি দুধ সরবরাহ করতে হবে।
৭। এই পরিমান দুধ না পেলে বাছুরটি প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে মারা যেতে পারে অথবা বেঁচে থাকলেও এর থেকে কাংখিত উৎপাদন কখনোই পাওয়া যাবে না।

৮। আমাদের দেশে একটি মিথ চালু আছে যে দেশি গাভীকে ১০০% ফ্রিজিয়ান সিমেন দিলে বাচ্চা বাঁচে না।আসলে কথাটি পুরোপুরি সত্য নয়। এটি মূলত দুধের ঘাটতির কারণেই ঘটে থাকে।
৯। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে দেশি গাভীকে ১০০% সাহিওয়াল সিমেন দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
১০। দেশি গাভীকে ১০০% সাহিওয়াল সিমেন দিলে যে বকনা পাওয়া যাবে তা হবে ৫০-৫০ দেশি-সাহিওয়াল। যার দুধ উৎপাদন ও শারীরিক গঠন দেশি গাভী থেকে ভাল।

১১। ৫০-৫০ দেশি-সাহিওয়াল বকনাকে ১০০% ফ্রিজিয়ান সিমেন দিলে যে বকনা পাওয়া যাবে তার থেকে প্রথম লেকটেশনেই ১৫ থেকে ২০ লিটার দুধ পাওয়া সম্ভব ।
পশুর খামার ব্যবসায়, শুরুটা করবেন যেভাবে
সভ্যতার শুরু থেকে পশু পালন ছিল মানুষের প্রধান পেশা। যুগে যুগে এই পেশার ধরণ বদলেছে। সারা পৃথিবীতে পশুর খামার ব্যবসা একটি অন্যতম উৎপাদনশীল এবং লাভজনক ব্যবসা।

নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বৃহৎ আকারে শতভাগ বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনায় পশুর খামার পরিচালিত হয়। এসব খামারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন তাক লাগিয়ে দেবার মত। বর্তমানে ভারতে বাণিজ্যিক আকারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খামার ব্যবসা শুরু হয়েছে এবং ভারতীয় উদ্যোক্তা মোটা অংকের মুনাফা দেখতে শুরু করেছে।
ভৌগলিক অবস্থানের কারনে বাংলাদেশ পশুর খামার ব্যবসায় উন্নত দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। তবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ সম্ভব হলে আমাদের দেশেও পশুর খামার লাভজনক করা সম্ভব। সত্য বলতে আমাদের দেশে শিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তা খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার কাছে মনে হয় সরকার, সমাজ এবং পরিবার থেকে এই পেশার আধুনিকীকরণের কোন উৎসাহ নেই। বিষয়টা যেন বিধির অমোঘ বিধান, পেশাটি শুধুমাত্র গ্রামের শীর্ণ, দরিদ্র বা আধা শিক্ষিত বেকার তরুণদের জন্য। অবিলম্বে এই ধারণার পরিবর্তন প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর অর্থনীতিতে কৃষি উদ্যোক্তা সামনের সারিতে থাকবে তা হলফ করে বলার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ কৃষির জন্য অনেক সম্ভাবনাময় একটি দেশ।

প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে পশুর খামার ব্যবসায় একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রথমে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রাণীসম্পদ তৈরি করতে হবে তারপর সেই সম্পদ থেকে প্রকৃত উৎপাদন শুরু করতে হবে। সাধারণত ২-৩ বছর একাগ্রতার সাথে ধৈর্য নিয়ে পরিশ্রম করলে ভাল স্টার্ট-আপ করা যায়। জমি চাষ করা থেকে শুরু করে সোনালী ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত যে পরিচর্যা ও সময় প্রয়োজন কৃষিক্ষেত্রে কাজের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় এবং শ্রম দিতেই হবে। সুতরাং অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে খামার ব্যবসা শুরু করতে হবে। শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নিচে পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হল।

১। পণ্য নির্বাচন:
আপনার খামার থেকে কি ধরণের পণ্য উৎপাদন করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি ব্রীড, দুধ, মাংস, পশম উৎপাদন করতে পারেন। তাছাড়া বাই প্রোডাক্ট হিসাবে দুগ্ধজাত পণ্য বা মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারেন। যেটাই করুণ আপনাকে একটি নির্দিষ্ট উৎপাদন যোগ্য পণ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সে অনুসারে আপনার খামারের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দুধ উৎপাদন করলে ফ্রিজিয়ান বা সংকর জাতের গাভীর খামার, মাংস উৎপাদন করতে চাইলে বিফ ফ্যাটেনিং বা উন্নত জাতের ছাগল-ভেড়ার খামার, পশম করতে চাইলে উন্নত জাতের ভেড়া (মাটন মেরিনো জাতটি এখন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় পালন উপযোগী বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন) এবং দুগ্ধজাত পণ্য পনির, মাখন করতে চাইলে মিল্ক গোট খামার করা যেতে পারে।

২। বাজার নির্বাচন:
আপনার উৎপাদিত পণ্যর ধরণ অনুযায়ী কোন স্তরের বাজারে বিপণন করবেন তা ঠিক করত হবে। দেশের সামগ্রিক বাজারে চাহিদা আছে অনেক তবে সে অনুপাতে উৎপাদন এবং যোগান দিতে গেলে অনেক বড় বিনিয়োগ নিয়ে নামতে হবে। আমি এখানে মোটামুটি ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরুটা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে বলতে চাই। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য লোকাল মার্কেট নির্বাচন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ব্যবসায় বড় হবার সাথে সাথে আপনার টার্গেট বাজার বড় হতে থাকবে।

৩। পশুর জাত নির্বাচন:
খামার শুরু করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পশুর জাত নির্বাচন। মাথায় রাখতে হবে ভাল জাতের পশুর উপর আপনার খামারে উন্নতি নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে শতভাগ ব্লাড-লাইন সম্পন্ন পশু সংগ্রহ করা সব থেকে উত্তম। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ লাগবে অনেক। খামার করার জন্য ভাল জাতের ৭০-৮০ শতাংশ ব্লাড-লাইন সম্পন্ন পশু সংগ্রহ করলেই চলবে। খামারের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে খামার মুনাফা দেখবে আশা করা যায়।

৪। জমি নির্বাচন ও অবকাঠামো পরিকল্পনা:
খামারের জন্য নিজস্ব জমি হলে সবথেকে উত্তম। তাছাড়া আপনি জমি লিজ বা কট (যে এলাকায় যে চুক্তিতে জমি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে) নিয়ে খামার শুরু করতে পারেন। খামারের অবকাঠামো এবং ঘাসের জমির জন্য খামারের ধরণ অনুযায়ী নুন্যতম ৫ বিঘা জমি প্রয়োজন। যদিও ঘাসের বিকল্প খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে পারলে ঘাসের জমির প্রয়োজনীয়তা থাকবেনা। ঘাসের বিকল্প খাদ্য নিয়ে পরবর্তী লেখায় পাওয়া যাবে। খামারের জন্য নির্বাচিত জমি অবশ্যই লোকালয় থেকে দূরে হতে হবে এবং অবশ্যই সংযোগ সড়ক, পানি, বিদ্যুতের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

জমি নির্বাচনের পর খামারের অবকাঠামোর একটা খসড়া পরিকল্পনা করতে হবে। কোন ধরনের উপকরণ দিয়ে কম খরচে আধুনিক অবকাঠামো তৈরি সম্ভব সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দেশীয় উপকরণ ব্যবহার একটি উত্তম পন্থা হতে পারে। মনে রাখবেন আপনার বিনিয়োগের সব থেকে বড় অংশ ব্যয় হবে পশুর শেডে। পরবর্তী লেখায় কম খরচে আধুনিক খামার আবকাঠামো নিয়ে লিখবো। খামারের জন্য নির্বাচিত জমি অবশ্যই লোকালয় থেকে দূরে হতে হবে এবং অবশ্যই সংযোগ সড়ক, পানি, বিদ্যুতের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

৫। পরিকল্পনা প্রণয়ন:
এ পর্যায় এসে পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে হাত দিতে হবে। তার আগে কোন পশু দিয়ে (গরু, ছাগল, ভেড়া বা মহিষ) খামার শুরু করতে হবে তা নির্ধারণ করে সেই পশু সম্পর্কে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। সেই পশুর সাধারণ বৈশিষ্ট্য, প্রজনন কাল, উৎপাদন ক্ষমতা, স্বাস্থ্য, খাদ্য গ্রহণ, আচার-আচরণ সম্পর্কে বিস্তর ধারনা নিতে হবে। ইন্টারনেটের সুবাদে এই সমস্ত তথ্য এখন হাতের নাগালে। সময় নিয়ে মনোযোগের সাথে পড়াশোনা করে এবং খামার ব্যবসা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যাদি সংগ্রহ করে দুই বছরের একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। পরবর্তীতে সেই রোডম্যাপ ধরে এগোতে হবে।

খামারের পরিকল্পনাটি হাতে আসার পর খামারের কাজ শুরু করে দিতে হবে ধাপে ধাপে। সবার আগে বিনিয়োগের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়াটা জরুরী।

একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে শেষ করব। আপনি যদি খামার শুরু করতে চান তবে সবার প্রথমে আপনার নিজের সাথে বোঝাপড়া করতে হবে যে আপনি কি শখের খামারী হতে চান নাকি সত্যিকারের খামার উদ্যোক্তা। যদি আপনি প্রকৃত খামারী হতে চান তবে উপরের লেখাটি আপনার জন্য।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ৩০ এপ্রিল ২০২১