খুলনার নিউটনের পানিকচুর চারার ব্যাপক চাহিদা

1278

km-190875335678

মোহাম্মদ মিলন, খুলনা থেকে: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর ঘোনা মাদারডাঙ্গা এলাকার চাষী নিউটন মণ্ডলের পানিকচু চাষে সফলতার পর এবার তার কচুর চারা বিক্রিতেও সফলতা এসেছে। তার সংগৃহীত এসব চারা চাহিদা বেড়েছে দেশজুড়ে।

গেল বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিউটনের চারা সংগ্রহ করছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও চাষিরা। এবারও চারার জন্য অগ্রিম অডার রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষি নিউটন মণ্ডল। পানিকচু চাষে সফলতা তার পরিবারকে স্বাবলম্বী করেছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, মানবদেহের পুষ্টি ও কৃষকের আর্থিক চাহিদা পূরণেও এই পানিকচু অবদান রাখতে সক্ষম।

নিউটন মণ্ডল জানান, স্ত্রী প্রীতিলতা মন্ডলের পরামর্শে মাত্র ২০ শতক জমিতে তার কচু চাষের সাফল্য এলাকার ব্যাপক সারা ফেলেছ। স্থানীয়ভাবে চারা সংগ্রহ করে নিজস্ব পদ্ধতিতে রোপন ও পরিচর্যার মাধ্যমে এ কচুগুলোর উচ্চতা হয়েছে প্রায় ১০ ফুট বা তারও অধিক।

স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অত্র অঞ্চলের চাষিদের মাঝেও দেখা দিয়েছে কচু চাষের ব্যাপক আগ্রহ। শুধু পানিকচু চাষই নয়, এখন এই কচুর চারা বিক্রি করেও তিনি লাভবান হচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার পানি কচুর চারা সংগ্রহ করছেন।

তার দেয়া তথ্যমতে, স্থানীয়ভাবে জমির আইলে এবং অব্যবহৃত জমিতে পানি কচুর চারা তৈরি করে সেসব চারা বিক্রি করছেন। গত বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে পানি কচুর চারা সরবারহ দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় ৩০ হাজার, রুপসা উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামে ৪ হজার এবং যশোরে তোলা গোল্দার পাড়া গ্রামে ৫ হাজার এবং ঢাকা গাজিপুর ২ হাজার চারা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গেল বছর প্রায় এক লাখ চারা তিনি বিক্রি করেছেন। তিনি প্রতি পিস চারা তিন টাকা দরে বিক্রি করছেন। এসব চারা নিয়ে রোপন করে চাষিরাও লাভবান হয়েছেন বলে নিউটন মণ্ডল জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “অব্যবহৃত জমিতে দেশি জাতের পানি কচুর চারা যত্ন করে সেগুলো রোপনের উপযোগী করা হয়। এরপর চাষিদের কাছে বিক্রি করা হয়।

রোপন পদ্ধতি: পৌষ ও মাঘ মাসে চারা রোপনের সর্বউত্তম সময়। চারা রোপনের পর সরিষার খৈল, গোরোজিন দস্তা, ড্যাব, এমপি সার, গুটি ইউরিয়া ও থিয়বিট ব্যবহার এবং সপ্তাহে একদিন পানি দিতে হবে। মাত্র ছয় মাসে এসব কচু ৫ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এসব চারা জায়গা অনুসারে ১২ মাসও চাষ করা যায়। এতে শুধু কচুই নয়, এর লতি, ফুল পাওয়া যায়। ১ হাজার চারা চাষ করলে প্রতি সপ্তাহে ১০০ কেজি লতি কাটা যায়।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম