খুলনার বাজারে আম ও লিচু আসা শুরু

87

বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাস, শুরু হতে পাঁচ দিন বাকি থাকতেই খুলনা শহর ও এর আশপাশের এলাকাসহ স্থানীয় বাজারে রসালো ফল লিচু ও আম আসতে শুরু করেছে। খুলনার ফলের দোকানগুলো এখন গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল দিয়ে ভরে গেছে। শহরের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং বাম্পার উৎপাদনে লিচু ও আমের দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে। খবর: বাসস।

গতকাল নগরীর বেশ কয়েকটি খুচরা ফল বিক্রির স্থান পরিদর্শনকালে দেখা যায়, গোপালভোগ, গোবিন্দের মতো জাতের আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। আর প্রথম দিককার হিমসাগর প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন অস্থায়ী বাজার ও ফলের দোকান থেকে লোকজনকে আম ও লিচু ক্রয় করতে দেখা গেছে।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিশেষ করে, বড় বাজার, ক্লে রোড, কেসিসির সন্ধ্যা বাজার (সন্ধ্যার কাঁচাবাজার) ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস মোড়, ময়লা পোতা মোড়, পশ্চিম মাকওয়াত রোড, গল্লামারী, রূপসা বাজার, ভৈরব স্ট্যান্ড রোড, কালিবাড়ি রোড, কেডি ঘোষ রোড, নিউমার্কেট এলাকা, খালিশপুর ও দৌলতপুরের কাঁচা বাজারে অস্থায়ী দোকান বসিয়েছে, যেখানে চোখ ধাঁধানো ফলের সমাহার দেখা যাচ্ছে। এদিকে বোম্বাই, বেদানা, চায়না-থ্রিসহ বিভিন্ন জাতের লিচু ন্যায্য দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কেসিসি কাঁচা বাজারের লিচু বিক্রেতা আজিজ মিয়া বলেন, গুণমান ও আকার অনুযায়ী ১০০টি বোম্বাই লিচুর প্রতি ছড়া বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা, বেদানা ৩৪০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং চায়না-থ্রি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশি হলেও আগামী দু-এক দিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমবে। বড়বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মামুন হোসেন জানান, বেশি মূল্য পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক অপরিপক্ব লিচু বাজারজাত করছেন। মিজানুর রহমান লিটন নামে এক ক্রেতা লিচুর দামে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আরেক ক্রেতা সৈকত মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘মূল্য সন্তোষজনক, প্রচুর পরিমাণে ফলের মজুত রয়েছে। আশা করি দাম এমনই থাকবে।’

ফল পচন রোধে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফরমালিনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান ক্রেতারা। মৌসুমি ফল বাজারে আসতে শুরু করায় ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়ার আশা করছেন ক্রেতারা। ফরমালিনযুক্ত ফল শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, গ্যাস্ট্রিক এবং ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।