গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দায়িত্ব পেলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের

2042

gprti55
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবোল বোস মনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ থেকে শরীফকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের এক বছরের মাথায় তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তন হলো।

এক নজরে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম: তিনি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮/০২/১৯৬২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ আব্দুল খালেক শেখ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বরেণ্য রাজনীতিবিদ।

বর্তমানে তিনি সিনিয়র এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট (আপীল বিভাগ), আইন বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সাবেক সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, তিনি কনিষ্ঠতম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষা জীবন: তিনি ১৯৭৭ সালে বরইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এস এস সি, ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি, ১৯৮৩ সালে এলএল.বি ডিগ্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এস.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।

পেশা জীবন: ১/১১ পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী সময় থেকেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরম্নদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্র মুলক সকল মিথ্যা মামলার অন্যতম আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সংসদ ভবন এলাকায় বিশেষ জজ আদালতে অন্যতম আইনজীবী হিসাবে নিয়মিত অংশ গ্রহণ ও সুপ্রীমকোর্টে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল মামলায় অন্যতম আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

জেল হত্যা মামলায় জাতীয় ৪ নেতার পরিবারের আবেদন ক্রমে সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত অন্যতম আইনজীবী হিসাবে হাইকোর্টে জেল হত্যা মামলা পরিচালনা করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের অন্যতম আইনজীবী হিসাবে সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে উক্ত মামলা পরিচালনা করেন।

রাজনীতিতে অংশগ্রহণ: ছাত্র অবস্থায় থেকেই তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে একনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তারের পরে তাকে আইনী সহায়তা দানের জন্য সর্বপ্রথম জননেত্রী শেখ হাসিনার সহিত সাক্ষাতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট লিখিত অনুমতি প্রার্থনা করেন।

এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরম্নদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও হয়রানী বিষয়ে ১৭/১০/২০০৭ তারিখে হাউস অব কমন্সে গেষ্ট হিসাবে উপস্থিত হয়ে দায়ের করার মামলার ভিত্তিহীনতা তুলে ধরেন।

তিনি, দৌলতপুর কলেজের সাবেক ভি.পি, সাবেক সহ-সভাপতি, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগ, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্য নির্বাহী কমিটি (১৯৯০ সন থেকে অদ্যাবধি), সদস্য, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাধারণ সম্পাদক, ঢাকাস্থ পিরোজপুর জেলা আওয়ামী পরিষদের দায়িত্ব পালন করছেন।

সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ: সাধারণ সম্পাদক, পিরোজপুর জেলা সমিতি, ঢাকা। সভাপতি, সুপ্রীম কোর্ট রিপোর্টারস এসোসিয়েশন। সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার আইনজীবী লীগ। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘‘আইনজীবী সাংস্কৃতিক সংসদ; এর সভাপতি।

তিনি মানবাধিকার ও আইনী সেবামূলক কর্মকান্ডের স্বীকৃতি হিসাবে নিম্নোক্ত পুরস্কার লাভ করেন:

শেখ রাসেল স্মৃতি পদক; বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ পদক; অতিশ দিপঙ্কর স্বর্ণপদক; ইউনেস্কো ক্লাব পদক; আইন ও মানবাধিকারে লালন পত্র পদক-২০১১; শের-ই-বাংলা জাতীয় স্মৃতি পদক এবং মানবাধিকার পদক সহ ১৪ টি পদক লাভ করেন।

প্রকাশিত গ্রন্থ: মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব, দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। ইতিহাসের দায় মুক্তি। (মানবতা বিরোধী শীর্ষ অপরাধীদের ফাসির রায় সংকলিত) এছাড়া, তিনি জাতীয় ও সামাজিক বিষয়ে নিয়মিত আলোচক হিসাবে টেলিভিশনে টকশো, বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণসহ, সংবাদপত্রে নিয়মিত নিবন্ধ প্রকাশের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩ফেব্রু২০২০