গতবছরের চেয়ে চা উৎপাদন বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

619

চা বাগান

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় দেশের চা বাগানগুলোয় এ বছর চা উৎপাদন বেড়েছে। চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন হয়েছে ১৬৬টি বাগানে। উৎপাদনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর নয় কোটি কেজির বেশি চা উৎপাদন হবে বলে আশা করছে চা বোর্ড।

চা বোর্ডের সর্বশেষ মাসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের ১৬৬টি বাগানে মোট চা উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৮ হাজার কেজি। আর গত বছরের একই সময়ে উৎপাদন হয়েছিল মাত্র ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৮ হাজার কেজি চা। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে ৪৪ শতাংশ বেড়েছে চা উৎপাদন।

খাত বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া চা উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে অনুকূল। অর্থাৎ রাতের বেলা বৃষ্টির পাশাপাশি দিনে খরতাপ থাকলে ভালো মানের কুঁড়ি উৎপাদন হয়। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলেও নিয়মিত বৃষ্টিপাত ও দিনের বেলা রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার কারণে দেশের বাগানগুলোয় ভালো মানের চা উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি চায়ের পরিমাণও বেড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের দারাগাঁও চা বাগানের ম্যানেজার ফরিদ আহমদ শাহিন বলেন, অনুকূল পরিবেশের কারণে চা উৎপাদন বেড়েছে। বছরের প্রথম দিকে চা উৎপাদন কম হলেও এখন তা প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমান বর্ষা মৌসুমেও ভালো বৃষ্টি হচ্ছে। এখনকার চাগুলো এক মাস পর নিলামে উঠবে। ফলে কয়েক মাস ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চা উৎপাদন করা সম্ভব বলে আশা করছি।

এদিকে মাসভিত্তিক উৎপাদনেও বেশ ভালো করছে বাগানগুলো। দেশের বাগানগুলোয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪ লাখ ৯৫ হাজার কেজি, ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ১৪ হাজার, মার্চে ১৯ লাখ ১৭ হাজার, এপ্রিলে ৬১ লাখ ১০ হাজার, মে মাসে ৭৬ লাখ ৪৫ হাজার এবং সর্বশেষ জুনে ১ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/জাকির