গবাদিপশুকে আর্সেনিক বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত করার উপায়

190

আর্সেনিক বিষক্রিয়া হলো আর্সেনিক বাহিত রোগ। যখন আর্সেনিকের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তখন সে অবস্থাকে আর্সেনিক বিষক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘসময় ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি খেলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব শরীরে দেখা যায়।

গবাদিপশুর আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় করণীয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। গবাদিপশু পালনে অন্যতম সমস্যা হল গবাদিপশুর রোগ। বিভিন্ন কারণে গবাদিপশু রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গবাদিপশুর খাদ্য। খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে গবাদিপশু অনেক সময় আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। চলুন গবাদিপশুর আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় করণীয় সম্পর্কে জেনে নেই-

গবাদিপশুর আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় করণীয়ঃ
যেভাবে আক্রান্ত হতে পারেঃ

যেসব খাদ্যে আর্সেনিক মাত্রাতিরিক্ত থাকে এসব আর্সেনিক মিশ্রিত খাদ্য খাওয়ার ফলে এ রোগ হয়। পশুর বহিঃ দেহের পরজীবি মারার জন্য মিশ্রণ, আগাছা পরিস্কার করার জন্য ঔষধ, কীটনাশক ঔষধ, ত্বক রং করা মিশ্রণ প্রকৃতি আর্সেনিক উৎপাদিত দ্রব্য দ্বারা পশুতে বিষক্রিয়া হতে পারে।

তাছাড়া আর্সেনিকের খালি পাত্র বা রং এর খালি পাত্র যেখান সেখানে ফেলে রাখলে পশু চেটে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অধিক সময় পশুকে অধিক মাত্রায় আর্সেনিক মিশ্রিত পানি পান করালে এ বিষক্রিয়া হতে পারে।

আর্সেনিক বিষক্রিয়ার লক্ষণঃ

১। তীব্র বিষক্রিয়ায় পশু ২৪ ঘন্টার মধ্যে মারা যায়।

২। শূল ব্যথা, লালা ঝরা, পিপাসা, ক্ষুধামন্দা।

৩। আক্রান্ত পশুর বদহজম, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য।

৪। শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে যাওয়া।

৫। পিছনের পায়ে প্যারালাইসিস।

৬। মাংসপেশির খিচুনি, শরীরের ব্যালেন্স না পাওয়া।

৭। আক্রান্ত পশুর গায়ের পশম ঝরে যায়।

৮। পশুর নাক ও মুখ ফুলে যায়।

আর্সেনিক বিষক্রিয়ার চিকিৎসাঃ

১। ১০-১২ টি হাঁস-মুরগির ডিম ভেঙ্গে সাদা অংশ খাওয়ানো যেতে পারে।

২। ৫০০-৭৫০ মি.লি কাঁচা তিসির তেল মুখে খাওয়াতে হবে।

৩। ৪০-৬০ গ্রাম সোডিয়াম থায়োসালফেট ৪৮০ মি.লি পরিস্কার পানিতে মিশিয়ে ৬ ঘন্টা অন্তর অন্তর খাওয়াতে হবে।

৪। ৩০ গ্রাম সোডিয়াম থায়োসালফেট ২০০ মি.লি পরিশ্রুত পানিতে মিশিয়ে শিরায় ইনজেকশন দিতে হবে।

আর্সেনিক বিষক্রিয়ার প্রতিরোধঃ

১। পশুকে সকল সময় বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করাতে হবে।

২। বিষক্রিয়া যাতে না হয় এর কারণগুলো প্রতিরোধ করতে হবে।