গবাদিপশুর ঔষধ প্রয়োগের সময় যা করবেন

1030

vaccine-cattle

গবাদিপশু পালন একটি লাভজনক পেশা। গবাদিপশু পালন করে অনেকেই তাদের দারিদ্রতা দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। গবাদিপশু রোগে আক্রান্ত হলে ঔষধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। আসুন জেনে নেই গবাদিপশুর ঔষধ প্রয়োগের সময় করণীয় সম্পর্কে-

গবাদিপশুর ঔষধ প্রয়োগের সময় করণীয়ঃ
১। যেকোন পশুর স্বাভাবিক তাপমাত্রা না মেপে কোন প্রকার ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না।

২। পশুর স্বাভাবিক তাপমাত্রার বেশি বা জ্বর থাকলে এই পশুকে কোন প্রকার ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দেওয়া যাবে না।

৩। পশুর স্বাভাবিক তাপমাত্রার নিচে থাকলে এই পশুতে
কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না।

৪। যে কোন সালফা গ্রুপের ঔষধ ৩ দিনের বেশি পশুতে প্রয়োগ করা যাবে না।

৫। ব্যাথা নাশক ঔষধ পশুতে ৩ দিনের বেশি প্রয়োগ করা উচিত নয়।

৬। অধিক দুর্বল পশুতে সরাসরি ক্যালসিয়াম প্রয়োগ করা যাবে না।

৭। পশুকে প্রথম কৃমির ঔষধ প্রয়োগের ২১ দিনের মধ্যে আর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না।

৮। পশুকে LA জাতীয় ইনজেকশন প্রয়োগ করলে ৪৮ ঘন্টা পর পর প্রয়োগ করতে হবে।

৯। পশুকে যে কোন টিকা প্রদানে এক টিকা প্রয়োগ থেকে অন্য টিকা প্রদানের দূরত্ব হবে ১৫-২১ দিন।

১০। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে গবাদি পশু কে মুখে ঔষধ না খাওয়ানো ভালো।

১১। গর্ভবতী গাভী রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই তাকে
গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

১২। পশুর শরীরে যে যে স্থানে ইনজেকশন দেওয়ার নির্দেশনা আছে সে সে স্থানেই প্রয়োগ করতে হবে।

১৩। যে কোন গবাদি পশু কে অতিরিক্ত ক্যালসিয়া দেওয়া যাবে না।

১৪। রোগে আক্রান্ত পশু কে LA জাতীয় ইনজেকশন গভীর মাংসে প্রয়োগ করে ঐ স্থানে কোন প্রকার চাপ,মালিশ,ম্যাসাজ করা যাবে না।

১৫। পশুর শরীরের সঠিক ওজন অনুযায়ী সকল প্রকার ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

১৬। এলার্জি রোগে আক্রান্ত পশুকে অবশ্যই প্রথমে এন্টি এলার্জিটিক ঔষধ দিয়ে যে কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২ফেব্রু২০২০