গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসার নির্দেশ

567

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার রোধে জরুরিভিত্তিতে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে’ চিকিৎসা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‌‘লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রতিটি গবাদিপশু সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য মেডিকেল টিমকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’

পাশাপাশি এ চিকিৎসা কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

এর জন্য যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আক্রান্ত জেলার আশপাশের জেলা বা উপজেলা থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মেডিকেলে টিমে দায়িত্ব দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো এই নির্দেশনায় প্রতিদিন যেসব গবাদিপশুর চিকিৎসা করা হবে সেই পশুর মালিকের নাম ও মোবাইল ফোন নম্বরসহ ঠিকানা সংবলিত তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, নীলফামারী, নওগাঁসহ বেশ কয়েকটি জেলার প্রায় সবকটি উপজেলার গবাদিপশুর মধ্যে ব্যাপকহারে লাম্পি স্কিন ভাইরাসজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে অনেকে একে ‌‘গো-বসন্ত’ও বলছে।

বাংলাদেশে গত বছর এই রোগ প্রথমবারের দেখা দিলেও এবার এর ব্যাপকতা গত বছরের চাইতে বেশি বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। বিশেষ করে দিনাজপুর জেলার সদর, খানসামা ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়েছে বলে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এ রোগের লক্ষ্মণ হিসেবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন যে, এই রোগে আক্রান্ত হলে গবাদিপশুর চামড়া ফুলে যায় এবং শরীরে গোটা গোটা ঘায়ের মতো হয়ে যায়। তারপর জ্বর আসে। অনেক সময় গরুর পায়ে পানি জমতে পারে। খাবারে অরুচি দেখা দেয়। একপর্যায়ে চামড়ায় ফোসকা পড়ে ইনফেকশন হয়ে যায়।

এই অবস্থার মধ্যেই বিষয়টি জরুরি বিবেচনায় নিয়ে আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম প্রণিসম্পদ অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, আক্রান্ত এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অথবা একজন ভেটেরিনারি সার্জন অথবা একজন প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অথবা ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট অথবা ফিল্ড অ্যাসিসটেন্টের (এআই) সমন্বয়ে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠনের কথা বলা হয়েছে।

সূত্র: এনটিভি

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০জুন২০