গবাদি পশুর একটি অতি মারাত্মক রোগ হলো তড়কা। বছরের যে কোন সময় যে কোন বয়েসের প্রাণীর এরোগ হতে পারে। ★এরোগ হলে ডাক্তার দেখানোর মতো সময় পাওয়া যায়না। এরোগের মৃত্যুর হার শতকরা ৯০-১০০ ভাগ। এরোগের জীবাণু মাটিতে প্রতিকুল অবস্থায় পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে।
লক্ষণঃ
১ হঠাৎ করে দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধিপায় (১০৪-১০৫)°
২/আক্রান্ত পশু কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে পড়ে যায়।
৩/মাটিতে পড়ে যায় এবং পা দিয়ে পেটে লার্থি মারে।
,৪/মুখ দিয়ে ফেনা যুক্ত লালা ঝড়ে এবং পশু গোমরাতে থাকে।
৫/ পুনরায় উঠে দারানোর চেষ্টা করলে আবার পড়ে যায়
৬/ এভাবে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরে ১-২ ঘন্টার পর পশুটি মারা যায়।
৭/ এরোগের মৃত্যুর পর পশুর ২-৩ ঘন্টার পরে দূত পেট ফুলে যায়।
৮/দেহের স্বাভাবিক ছিদ্র (নাক,মুখ,পায়খানা, প্রশবের রাস্তা) দিয়ে আলকাতরা মতো জমাট
বিহীন কালো রক্ত বের হতে থাকে।
প্রতিরোধঃ
১/ তড়কা টিকা 1cc করে চামড়ার নিচে দিতে হবে ১ বছর পর পর।
২/ এ রোগের মৃত পশু এবং মৃত পশু হতে নির্গত বর্জ্যপদার্থ কে গভীর মাটিতে পুটে ফেলতে হবে।
৩/গোয়াল ঘরে জীব নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১জানুয়ারি২০২১