গমের ব্লাস্ট রোগের পরিচিতি :গমের ব্লাস্ট একটি প্রধান ক্ষতিকর ছত্রাকজনিত রোগ। ছত্রাকটির বৈজ্ঞানিক নাম ম্যাগনাপরথি অরাইজি ট্রিটিকাম। গমের শীষ বের হওয়া থেকে ফুল হওয়া পর্যন্ত সময়ে আবহাওয়া উষ্ণ ও আর্দ্র থাকলে এ রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০১৬ সালে যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ রোগের কারণে আক্রান্ত গমের ফলন শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ কমে যায় এবং ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় সম্পূর্ণ ফসল বিনষ্ট হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
প্রাথমিক পর্যায়ে পাতায় ক্ষুদ্রাকার চোখাকৃতির দুই একটি দাগ দেখা যায়।
প্রধানত গমের শীষে এ ছত্রাকের আক্রমণ হয়
শীষ হওয়ার পর্যায়ে শীষের উপরিভাগ শুকিয়ে সাদাটে বর্ণ ধারণ করে যা সহজেই নিম্নভাগের সবুজ ও সুস্থ অংশ থেকে আলাদা করা যায়।
ব্লাস্ট রোগের আদর্শ (Typical) লক্ষণ হলো অনুকূল পরিবেশে শীষের প্রায় সম্পূর্ণ অংশই শুকিয়ে সাদাটে হয়ে যায়। আক্রান্ত শীষের দানা অপুষ্ট হয় ও কুঁচকে যায় এবং ধূসর বর্ণ ধারণ করে।
রোগ দমন ব্যবস্থাপনা
ব্লাস্টমুক্ত গমের ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
অপেক্ষাকৃত কম সংবেদনশীল জাত যেমন-বারি গম ৩৩ এর চাষ করা যেতে পারে।
উপযুক্ত সময়ে (কার্তিকের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ নভেম্বরের ২য় সপ্তাহে) বীজ বপন করা।
বপনের আগে প্রতি কেজি বীজের সাথে ৩ গ্রাম হারে প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
প্রতিষেধক ব্যবস্থা হিসেবে শীষ বের হওয়ার সময় একবার এবং এর ৭ থেকে ১০ দিন পর আরেকবার ৫ শতাংশ জমিতে ৬ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/৬জানু২০২০