বিশ্বের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোকের প্রধান খাদ্য গম। দানাদার খাদ্য হিসেবে গম বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ইঁদুরের আক্রমণে গম ফসলে বছরে প্রায় শতকরা ৪ থেকে ১২ ভাগ ক্ষতি সাধিত হয়। গম যত পরিপক্ক হতে থাকে ক্ষতির পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে। ইঁদুর গাছ কেটে গমসহ শীষ গর্তে নিয়ে প্রচুর ক্ষতিসাধন করে থাকে। একটি ইঁদুর এক রাতে ১০০ থেকে ২০০ টি পর্যন্ত কুশি কাটতে সক্ষম।
দমন ব্যবস্থাপনাঃ
গর্তে ইঁদুর দমন করতে গর্তে পানি ঢেলে বা মরিচের ধোয়া দিয়ে দমন করা যায়।
বিভিন্ন ধরণের ফাঁদ যেমন- বাশেঁর ফাঁদ, কাঠের লোহার ও মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে ইঁদুর দমন করা যায়।
বোর্ডে বা জমিতে ইঁদুরের খাবার রেখে চতুর্দিকে গ্লু বা আঠা লাগিয়ে রাখা- এক্ষেত্রে ইঁদুর খাওয়ার জন্য গ্লু এর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় আটকে যায়, আটকে পড়া ইঁদুরকে সহজেই মেরে ফেলা যায়।
যে সব উপায়ে ইঁদুরের প্রকোপ কমানো যায় তা হলো-
– ক্ষেতের আইল ছোট ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি রাখা।
– ফসল সারিতে বপন করে এবং বেড পদ্ধতিতে আবাদ করে ইঁদুরের আক্রমন কমানো যায়।
– প্রতিরোধক জাল ব্যবহার করে।
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে ফিনিক্স, র্যাট কিলার, ল্যানির্যাট বা বাজারে প্রাপ্ত অনুমোদিত যেকোন একটি ইঁদুরনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোন নির্দিষ্ট একক পদ্ধতি ইঁদুর দমনের জন্য যথেষ্ট নয়। ইঁদুর দমনের সফলতা নির্ভর করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বিভিন্ন সময়োপযোগী পদ্ধতি ব্যবহারের উপর। অতএব সম্মিলিত এবং সময়োপযোগী দমন পদ্ধতি প্রয়োগ করলেই জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব কমানো সম্ভব। এছাড়া যেকোন পরামর্শের জন্য স্বল্প মূল্যে ‘কৃষি কলা সেন্টারে’ আপনার মোবাইল হতে ১৬১২৩ নম্বরে শুক্রবারবাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩০মার্চ২০