নওগাঁ: জেলায় গম চাষে কৃষকরা ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তুলনামুলকভাবে সেচ ও কীটনাশকের খরচ কম হওয়ার কারণে কৃষকরা গম চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন। সেই কারণে বিশেষ করে বরেন্দ্র অধ্যুষিত উপজেলাগুলোতে গমের আবাদ বাড়ছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠগুলোতে এখন গমের কর্ত্তনের সময় হয়ে এসেছে। কোথাও কোথাও গম কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে মাঠে মাঠে পাকা গমের সোনালী ক্ষেতের সমাহার। জেলায় প্রধানত উন্নতফলনশীল জাতের বারী-২৫ এবং বারী-২৬ জাতের গম চাষ বেশি হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষকরা বারী-২৮ জাতের গমও চাষ করেছেন।
চলতি বছর এ জেলায় মোট ২৮ হাজার ১শ ৩০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক গম চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭শ ৫০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৬শ ৯০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৩শ ১০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ৭শ ১০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ৬শ ১০ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ১ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১ হাজার ৯শ ৪০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৯ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৬ হাজার ১শ ২৫ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ২ হাজার ৬শ ৪ হেক্টর এবং নিয়ামত উপজেলায় ৩ হাজার ৪শ ৭০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এসব জেলার মধ্যে বরেন্দ্র অধ্যুষিত পতœীতলা, ধামইরহাট, সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় অধিক গমের আবাদ হয়েছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেছেন এ বছর জেলায় গম চাষেল জন্য আবহাওয়া খুবই অনুকুলে ছিল। কাজেই গম চাষ অত্যন্ত ভালো হয়েছে। ফলনও আশাতীত হবে বলে তিনি মনে করেন।
তার মতে প্রতি হক্টের জমি থেকে ৩ দশমিক ২০ মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হবে। সেই হিসাবে এ জেলায় চলতি বছর প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন