গরুর কৃমি হলে ওষুধ প্রদানের
সময়ে যা মেনে চলতে হবে তা নিচে দেওয়া হল-
১। গরুর কৃমি হলে সকালে খালি পেটে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে সবচেয়ে ভাল হয়। সকালে গরুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ালে তা বেশি কার্যকর হয়।
২। গরুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর সময় ট্যাবলেট গুড়া করে চিটাগুড় বা কলার পাতার সাথে মুড়িয়ে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
৩। গরুকে কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা কোন ধরনের খাদ্য প্রদান করা যাবে না।
৪। গরুকে কোনভাবেই দানাদার খাদ্যের সাথে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। গরুকে দানাদার খাদ্যের সাথে পানি মিশিয়ে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ালে তেমন কোন কাজ করে না।
৫। গরুকে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ কৃমির ওষুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। যদিও কৃমিনাশক ঔষধ নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান খাওয়ালে গরুর তেমন কোন ক্ষতি হয় না।
৬। গর্ভবতী গাভী বাচ্চা প্রদানের কমপক্ষে ৪৫ দিন পর কৃমিনাশক ব্যবহার করতে হবে কিন্তু এর আগে গরুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
৭। গরুকে কোনভাবেই মাত্রার চেয়েও কম পরিমানে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। মাত্রার চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমি না মরে গিয়ে আরও বেশি করে আক্রমন করবে।
৮। গর্ভবতী গাভীকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আট মাসের উপর গর্ভবতী গাভীকে কৃমিনাশক খাওয়া উচিত নয়।
৯। গরুকে নিয়মিত অর্থাৎ প্রত্যেক তিন মাস পর পর কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। এতে যেমন গরু কৃমির হাত থেকে রক্ষা পাবে তেমনি গরুর স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৩নভেম্বর২০২০