বীজের গুণাবলীঃ বীজ ভালো না হলে যেমন ক্ষেতে ফসল ভালো হয় না তেমনি বীজ ভালো না হলে বাচ্চা উৎপাদনের হারও তেমন ভালো হয় না। বীজ পরীক্ষা না করে ব্যবহার। বীজের গুণগতমান সঠিক না থাকা। মৃত শুক্রাণুযুক্ত বীজ ব্যবহার। দুর্বল শুক্রাণুযুক্ত বীজ ব্যবহার।
স্ট্র বা বীজ ভায়ালের মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকা।বীজের পরিমাণ কম দেয়া।অনুর্বর ষাঁড়ের বীজ ব্যবহার। জীবাণু দ্বারা শুক্রাণু সংক্রামিত হওয়া।
সিমেন স্ট্র/ ভায়ালঃ ত্রুটিপূর্র্ণভাবে স্ট্র বা ভায়াল পরিবহন। ত্রুটিপূর্ণভাবে স্ট্র / ভায়াল সংরক্ষণ ক্রটিপূর্ণভাবে সিমেন ক্যান থেকে স্ট্র বের করা। সিমেন ক্যানে লিকুইড নাইট্রোজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া। সিমেন ক্যানের ঢাকনির সাথে সংলগ্ন লাল সিলের ত্রুটি। হিমায়িত বীজ ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে গলানো (thawing)। তরল বীজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ফ্রিজে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ না থাকা।
প্রজননকারীঃ প্রজননকারীর অনভিজ্ঞতা। ত্রুটিপূর্ণ ও অদক্ষভাবে প্রজনন করা। প্রজনন অঙ্গের ভেতর ভুল স্থানে শুক্রাণু স্থাপন।
গাভীর ইস্ট্রাস বিষয়ে ভুল ধারণা। প্রজননের পর গাভীকে বিশ্রাম না দেয়া।
গাভীঃ গাভী সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়া। যৌন রোগে আক্রান্ত হওয়া। জননাঙ্গে যে কোনো প্রকারের প্রদাহ থাকা। অনিয়মিত ঋতুচক্র। পুনঃপুনঃ গরম হওয়া ও গরম হওয়ার ভ্রান্ত লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া। হরমোন নিঃসরণের অভাব। হরমোন নিঃসরণে ভারসাম্যহীনতা। অধিক বয়স।
পুষ্টির অভাব।
প্রজননের সময়ঃ গাভী ডাকে আসার ১২-১৮ ঘন্টার মধ্যে প্রজনন না করা। ত্রুটিপূর্ণ গরমের লক্ষণ চিহ্নিত করা। প্রজনন ব্যবস্থাপনা পালন না করা। সকালে গরম হলে সকালেই প্রজনন করানো। বিকালে গরম হলে ওই দিন বিকালেই প্রজনন করানো।
প্রজননের জন্য উপযুক্ত সময় না মানা। এছাড়া আরো অনেক কারণ আছে যে কারণে কৃত্রিম প্রজনন ফলপ্রসু হয় না।
প্রতিকারঃ
উপরোক্ত সমস্যাসমূহ প্রতিকারে যা করণীয় তা নিম্নে দেয়া হলোঃ বীজের গুণাগুণ আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। বীজের ভেতর শুক্রাণুর মটিলিটি, পরিমাণ, সংখ্যা, ইত্যাদি সঠিক হতে হবে।
সে জন্য প্রজননের ষাঁড় বাঁছাই ও ছাটাই পদ্ধতি প্রজনন মানের (Estimated breeding value) ভিত্তিতে করা উচিত। বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং এদের মান ঠিক আছে কিনা তা প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করা উচিত।