গরুর খাদ্য ও পুষ্টি

1130

আঁশ জাতীয় খাদ্য

শুষ্ক আঁশ জাতীয় খাদ্যে শতকরা ১০-১৫ ভাগ পানি বা জলীয় অংশ থাকে যেমনঃ বিভিন্ন প্রকার খড় । রসালাে আঁশ জাতীয় খাদ্যে শতকরা ৭০-৮৫ ভাগ পানি বা জলীয় অংশ থাকে যেমনঃ কাচা ঘাস , লতাগুল্ম , বিভিন্ন গাছের পাতা , মাসকলাই , খেসারী ইত্যাদি ।
দানাদার জাতীয় খাদ্য

বিভিন্ন প্রকার ডাল জাতীয় শস্যদানা ও শস্যদানার উপজাত । যেমনঃ ডালের ভুসি , গমের ভুসি , খৈল , চালের কুঁড়া ইত্যাদি ।
খনিজ উপাদানঃ

যেমনঃ- লবন , লাইমস্টোন , মনাে – ক্যালসিয়াম ফসফেট , ডাই – ক্যালসিয়াম ফসফেট ইত্যাদি ।
ফিড সাপ্লিমেন্ট / প্রিমিক্সঃ

ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স , এমানাে এসিড , অর্গানিক এসিড , এনজাইম ইত্যাদি । গাভীর সুষম খাদ্যঃ গাভিকে দৈনিক প্রয়ােজনীয় অনুপাতে খড় , কাচা ঘাস ও দানাদার খাদ্যের মিশ্রন সরবরাহ করতে হবে ।
৩০০ কেজি ওজনের একটি গাভীকে দৈনিক

১. উচ্চমান সম্পন্ন কঁাচা ( সবুজ ) ঘাসঃ ১০-১৫ কেজি ।
২. খড়ঃ ৩-৪ কেজি ৩. ১৮ % -২০ % প্রােটিন সমৃদ্ধ দানাদার খাদ্যের মিশ্রন ২-৩ কেজি সরবরাহ করতে হবে।

নিয়মঃ

* ১০০ কেজি ওজনের গাভীকে প্রতিদিন মিশ্রণের ৩ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে ।
* গাভী গর্ভবতী হলে ৫ ম মাস থেকে বাচ্চা প্রসব পর্যন্ত ১.৫ কেজি অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য দিতে হবে ।
* দুধালাে হলে প্রতি ২.৫ লিটার দুধের জন্য ১ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে ।
সাধারণতঃ গরুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ওজনের শতকরা ২ ভাগ আঁশ জাতীয় খাদ্য , শতকরা ১ ভাগ দানাদার জাতীয় খাদ্য ও ৪ ভাগ রসালাে আঁশ জাতীয় খাদ্য সরবরাহ করতে হয় ।
অর্থাৎ গাভীর প্রাথমিক ওজন ২০০ কেজি হলে উক্ত গাভীর দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনার জন্য ৪ কেজি শুষ্ক আঁশ জাতীয় , ২ কেজি দানাদার জাতীয় এবং ৮ কেজি রসালাে আঁশ জাতীয় খাদ্য সরবরাহ করতে হয় ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০নভেম্বর২০২০