১। যে সকল খাদ্য উপকরণ স্থানীয় বাজারে সহজে সস্তা পাওয়া যায়, খাদ্য তৈরির সময় সে সকল উপকরণ ব্যবহার করা উচিৎ।
২। খাদ্য অবশ্যই সুস্বাদু ও সহজ পাচ্য হতে হবে।
৩। খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সমূহ সঠিক মাত্রায় থাকতে হবে অর্থাৎ খাদ্য সুষম হতে হবে।
৪। খাদ্য উপকরণ টাটকা হতে হবে; ময়লা, ছাতাপড়া, দুর্গন্ধ, ধুলাবালি ও ভেজাল ইত্যাদি মুক্ত হতে হবে। ভেজাল মুক্ত বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী দিয়ে খাদ্য তৈরি করতে হবে।
৫। খাদ্য উপকরণ হঠাৎ করেই পরিবর্তন করা উচিৎ নয়, পরিবর্তন করা প্রয়োজন হলে দিনে দিনে অল্প অল্প করে পরিবর্তন করতে হবে।
৬। দুগ্ধবর্তী গাভীর খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে খনিজ পদার্থ থাকতে হবে, খনিজ পদার্থের অভাবে দুধ উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং দুগ্ধ দান কালে শেষে গাভী অত্যান্ত দুর্বল হয়ে পড়বে।
৭। খাদ্য প্রস্তুতের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পশুর পেট পূর্ন হয়।
৮। খাদ্য অবশ্যই স ঠিকভাবে তৈরি করতে হবে। যেমনঃ- ছোলা, খেসারী, মাসকালাই, ভূট্টা, গম, খৈল ইত্যাদি মিশ্রনের পূর্বে ভেঙ্গে (আধা ভাঙ্গা) নিতে হবে। আস্ত শস্য দানা অনেক ক্ষেত্রেই পশু হজম করতে পারেন না।
৯। ছোবড়া জাতীয় খাদ্য যেমনঃ- খড়, কাঁচা ঘাস, ইত্যাদি আস্ত না দিয়ে কেটে কেটে ছোট করে খাওয়াতে হবে। এতে যেমন অপচয় কম হবে তেমনি পশুর সুবিধা হবে এবং হজমে সহায়ক হবে। শুকনা খড় কেটে ভিজিয়ে খেতে দিলে ইহার হজম সহজ ও বৃদ্ধি পায়।
১০। খাদ্য ফর্মুলা অবশ্যই অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভজনক হতে হবে। খাদ্য উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি হলে প্রস্তুতকৃত খাদ্য মূল্য ও বৃদ্ধি পাবে, ফলে উৎপাদন ব্যয় ও বেড়ে যাবে। মৌসুম ভিত্তিক খাদ্য ক্রয় ও গুদামজাতকরন খাদ্য মূল্য কমাতে পারে।