১) গরুর বাসস্থানটি এমন উপায়ে নির্মাণ করতে হবে যাতে করে কোনভাবেই সেই বাসস্থানে বৃষ্টি হলে পানি ও শীতের সময় কুয়াশা প্রবেশ করতে না পারে। কোন কারণে গরুর বাসস্থানে বৃষ্টির পানি কিংবা কুয়াশা ঢুকলে গরু রোগ আক্রান্ত হতে পারে।
২) গরুর বাসস্থান তৈরির সময় সেই বাসস্থানের আশপাশের আবহাওয়া ও পরিবেশ যাতে শুষ্ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গরুর বাসস্থান যে উপাদান দিয়েই তৈরি হোক না কেন সেটি অবশ্যই শুষ্ক হতে হবে।
৩) গরুর বাসস্থান তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই বাসস্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো ও বাতাসের চলাচলের ব্যবস্থা থাকে। গরুর বাসস্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো ও বাতাস চলাচল করতে না পারলে গরুর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। তাই গরুর থাকার স্থানে যাতে সব সময় আলো-বাতাস চলাচল করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৪) গরুর বাসস্থান এমনভাবে নির্মাণ করতে যাতে বাসস্থানের কোন স্থানে স্যাঁতস্যাঁতে না হয়। গরুর বাসস্থানের কোন অংশে স্যাঁতস্যাঁতে হলে গরু বিভিন্ন প্রকার রোগ-জীবাণু ও পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
৫) গরুর বাসস্থান এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে সেই স্থানে অন্য কোন প্রাণী এসে গরুকে যাতে আক্রমণ করতে পারে।
৬) গরুর বাসস্থান এমন উপায়ে তৈরি করতে হবে যাতে সেই বাসস্থানে কোনভাবেই পানি আটকে না থাকে এবং সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
৭) গরুর বাসস্থানটি অবশ্যই মজবুত ও আরামদায়ক হতে হবে। গরুর যাতে বিশ্রাম ও চলাফেরার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৮ নভেম্বর ২০২১