খামারীগণ (কিছু) নিজেই পন্ডিতি করে অনেক সময় সামান্য জ্বরেও এন্টিবায়োটিক গরুতে পুশ করে। কোন উইথড্রোল পিরিয়ড এর তোয়াক্কা করে না। চিকিৎসা’র লাইসেন্স না থাকার পরও যত্রতত্র ভাবে কোয়াক’দের এন্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রবণতা বেশি। তারাও কোন উইথড্রোল পিরিয়ড এর তোয়াক্কা করে করে না।
ভেট- এন্টিবায়োটিক যেখানে সেখানে পাওয়া যায়। ভেট মেডিসিন তথা এন্টিবায়োটিক মনে হয় দুধ ভাতের মত। লাইসেন্স থাক বা না থাক ঔষুধ যত্রতত্রভাবে চলে। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না।
ভেট- ঔষুধ কোম্পানি গুলো সরাসরিভাবে খামারীদের মাঝে ঔষুধ বিক্রি করে! এটি কোন সিস্টেম হলো!
কোয়াক দিয়ে তারা সিংহভাগ এন্টিবায়োটিক মার্কেটে বিক্রি করে।
দুধ গ্রহণকারী কোম্পানি গুলো কিভাবে দুধ মার্কেটজাত করে তা আমার জানা নেই। তাই এ ব্যাপারে কিছু লিখবো না।
যিনি টেস্ট করে এন্টিবায়োটিক এর উপস্থিতি প্রমাণ করলেন; তিনি বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ করতে পারতেন! তিনি তড়িঘড়ি করে মিডিয়াতে রিপোর্ট পাবলিশিং করে দিলেন! প্রান্তিক ডেইরী খামারীর কথা, ডেইরী শিল্পের কথা তিনি একবারও ভাবলেন না!
কোন মেথডে টেস্ট করলেন? স্যাম্পল কোথা হতে নিলেন? কতটুকু কি পেয়েছেন? এটা কি ভাবে আসতে পারে? লাইভস্টক সংশ্লিষ্ঠ কাউকেই জানালেন না!
তিনি মিডিয়ায় ছেড়ে দিলেন! এতেই বুজা চায় তার মতলব কি?
করণীয়-
বিকাশমান ডেইরী শিল্প ও নিরাপদ দুধ আমরা চাই। দুধের সঠিক মুল্য চাই।
১। সরকারী পর্যায়ে জনবল তথা ভেট-ডাক্তার বৃদ্ধি করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন করে ভেট-ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে। তাহলে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
২। ভেটেরিনারী হাসপাতাল গুলো তে ৮ ঘন্টা শিপ্টে ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে। এক ডাক্তার দিয়ে সেবা সম্ভব নয়।
৩। রেজিস্টার্ট ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি নয়। এন্টিবায়োটিক গাভীতে পুশ নয়।
৪। লাইসেন্স ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। সরাসরিভাবে খামারীর কাছে এন্টিবায়োটিক বিক্রি কোন ঔষুধ কোম্পানি করতে পারবে না।
৫। বাংলাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত অসংখ্য ফিড কোম্পানি রয়েছে। লাইসেন্স বিহীন কোম্পানি’র খাদ্য মার্কেট জাত যেন না হয় সেদিকে নজর দেওয়া। ফিডে কোন এন্টিবায়োটিক আছে কি না তা পরীক্ষা করা।
মেধা বিকাশে দুধের বিকল্প নেই। দুধ হলো আদর্শ ও পরিপূর্ণ খাবার। নিম্নমানের গুড়োদুধ আমদানি বন্ধ করতে হবে। ডেইরী শিল্পকে বিকশিত করতে হবে। ডেইরী শিল্পের বিকাশের জন্য দেশিওভাবে শিল্পকারখানা স্থাপন করতে হবে। খাদ্যের দাম কমাতে হবে, দুধের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
ডাঃমোঃ শাহ্-আজম খান
ডিভিএম, এমএস ইন এনিমেল সায়েন্স
রংপুর জোন।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৬ফেব্রুয়ারি২০২১