রোগের কারণঃ
এক্টিনোব্যাসিলাস লিগনিয়ারেসি নামক ব্যাকটিরিয়া এ রোগের কারণ।
রোগের বিস্তারঃ
১। দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে এ রোগ জীবাণু সংক্রমিত হয়।
২। মুখ গহ্বরের ভিতরে ক্ষত থাকলে সহজেই জীবাণু ক্ষতের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
রোগের লক্ষণঃ
১। জিহ্বায় প্রদাহের ফলে জিহ্বা ফুলে উঠে, ক্ষত হয় ও লালা ঝরে ৷
২। পরে জিহ্বা মোটা ও শক্ত হয় ৷
৩। দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষেত্রে মুখ থেকে জিহ্বা বেরিয়ে আসে ৷
৪। জিহ্বা নড়াচড়া করতে পারে না ৷
৫। জিহ্বা আক্রান্তের ফলে পশু খেতে ও চাবাতে করতে পারে না এবং অত্যাধিক লালা ঝরে ৷
৬। লসিকা গ্রন্থি (গলার নিচে, কানের নিচে থাকে) আক্রান্তের ক্ষেত্রে ফোলা অবস্থা, তাপযুক্ত ও ব্যথাহীন ফোড়া সৃষ্টি হয় ৷
৭। লসিকা গ্রন্থি আক্রান্তের ক্ষেত্রে শ্বাস নেয়ার সময় গড় গড় শব্দ হয় এবং শ্বাসকষ্ট হয় ৷
৮। পরে এই ফোড়া ফেটে গন্ধহীন সাদা পুঁজের সৃষ্টি করে ৷
৯। ত্বকীয় রোগে প্রধানত মুখ, মাথা, বক্ষঃস্থল ও উরুর ত্বক আক্রান্ত হয় ৷ ফলে ত্বকের ক্ষত থেকে হলুদ বর্ণের পুঁজ বের হয় ৷
চিকিৎসাঃ
১। সোডিয়াম আয়োডাইড ১০% (১০ গ্রাম ১০০ মিঃলিঃ পানির সাথে মিশাতে হবে) দ্রবন প্রতি ১২ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ গ্রাম মাত্রা হিসাবে আক্রান্ত পশুর শিরায় ইনজেকশন দিতে হবে।
২। সালফোনেমাইড ইনজেকশন যেমন: ডায়াডিন, ডিমিডিন প্রতি ৫০ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১৫-৩০ মিঃলিঃ হিসাবে শিরায় ইনজেকশন দিতে হবে মোট ৩ দিন।
অস্ত্রপচারের মাধ্যমে চিকিৎসাঃ
অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ফোড়ার পুঁজ বের করে টিনচার আয়োডিন যুক্ত গজ প্রয়োগ করে এ রোগের চিকিত্সায় অধিক ফল পাওয়া যায়। একদিন পর পর গজ বদল করতে হবে।
প্রতিরোধঃ
১। রোগাক্রান্ত পশুর দ্রুত চিকিত্সা করে এ রোগের সংক্রমণ দ্রুত প্রতিরোধ করা যায়।
২। পশুর খাদ্য ও পানি যাতে দূষিত না হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৩জানুয়ারি২০২১