আমরা সাধারণ জানি পেঁয়াজ গাছের গোড়ায় ধরে। কিন্তু মিশরের পেঁয়াজের প্রসঙ্গে একটা চমকপ্রদ তথ্য না জানালেই নয়। তা হচ্ছে, দেশটিতে ব্যতিক্রমী জাতের পেঁয়াজ পাওয়া যায়। মিশরের ‘ওয়াকিং অনিয়ন’, বাংলায় বললে ‘হাঁটা পেঁয়াজ’।
এই পেঁয়াজের জাত অন্য জাতের তুলনায় আলাদা। বেশিরভাগ জাতের পেঁয়াজ যেখানে মাটির নিচে জন্মে অর্থাৎ গাছের গোড়ায় ধরে, সেখানে এই পেঁয়াজ গাছের আগায় ধরে!
ওয়াকিং অনিয়ত আকৃতিতে ছোট। এই পেঁয়াজের স্বাদ সাধারণ পেঁয়াজের মতো হলেও, ঝাঁঝ কিছুটা তীব্র। গাছের ডগাতেই এই পেঁয়াজে শিকড় তৈরি হয় এবং ডগা ভারি হয়ে মাটি স্পর্শ করার পর সেখান থেকে নতুন পেঁয়াজ গাছ জন্মে।
ওয়াকিং অনিয়ন গাছ ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি গাছ থেকে বছরে সাধারণত ছয়টি পেঁয়াজ গাছ হয়। এই ধরনের পেঁয়াজকে ‘ট্রি অনিয়ন’, ‘ইজিপশিয়ান ট্রি অনিয়ন’, ‘টপ অনিয়ন’, ‘উইন্টার অনিয়ন’ ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম এক্স প্রোলিফেরিয়াম।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮মার্চ২০