বৃক্ষরোপণ একাধারে বিজ্ঞান ও শিল্প। গাছ আমাদেরকে সুশীতল ছায়া দান করে, ভূমির ক্ষয় রোধ করে। পুষ্টিকর ফল ও ঔষধ এর উৎস গাছ। সৌন্দর্য বর্ধন ও বিনোদনে গাছের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কোনো দেশের মোট এলাকার অন্তত: ২৫% বন এলাকা থাকা উচিৎ। কিন্তু আমাদের দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ শতকরা মাত্র ১১.২ ভাগ। তাও আবার সমানভাবে সর্বত্র বিস্তৃত নয়। বর্দ্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে প্রতিদিনই অসংখ্য গাছ কর্তন করা হচ্ছে। ফলে গাছের সংখ্যা ক্রমেই কমছে যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মারাত্মক হুমকীর কারণ হতে পারে। এ জন্যই জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরই সরকারিভাবে বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানকে সফল করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরেরা যাতে পরিবেশের মারাত্মক ছোবলের শিকার না হয় সে জন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় করণীয় বিষয়ে আমাদের সকলকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
সঠিক সময়ে, সঠিক যায়গায়, সঠিক গাছটি উন্নত পদ্ধতিতে রোপণ করলে সর্বাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে বৃক্ষরোপণ করার সময় নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হয়।
গাছের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়
আমরা জানি গাছ মাটি থেকে রস চুষে নেয়। গাছ যে পরিমাণ রস মাটি থেকে চুষে নেয় তার সামান্য পরিমাণ অংশই ‘ফটোসিনথেসিস’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় (মাত্র ০.১%)। শোষিত রসের সিংহ ভাগই (৯৯.৯%) ট্রান্সপিরেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ‘স্টোমাটার’ মধ্য দিয়ে গাছ বায়ুতে ছেড়ে দেয় যা বায়ুতে জলীয় বাষ্প আকারে থাকে। ঊর্ধ্বাকাশে নিম্ন তাপমাত্রায় এই জলীয় বাষ্প ঘণীভূত হয়ে মেঘ-বৃষ্টির সৃষ্টি করে। এভাবে গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। শুষ্ক বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম থাকে। ফলে ট্রান্সপিরেশন হার বেড়ে যায় এবং মাটি থেকে অধিক পরিমাণে পানি চুষে নেওয়ার প্রয়োজন হয়। মাটিতে যথেষ্ট পরিমাণ রস না থাকলে গাছ বাঁচতে পারে না। এ কারণেই আমাদের দেশে বর্ষা মৌসুমে গাছের চারা রোপণের উত্তম সময়। কারণ বর্ষা মৌসুমে একদিকে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে অপরদিকে মাটিতে রসের পরিমাণও যথেষ্ট থাকে। যা রোপিত চারা সতেজ রাখতে সহায়ক। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির সময় বৃক্ষ রোপণ করা ঠিক নয়। কারণ এ সময় মাটিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকে এবং গাছের শিকড়ের শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, ফলে শিকড় পঁচে যায় এবং চারা মরে যায়।
কোথায় কি গাছ রোপণ করবেন
আমাদের জমির পরিমাণ সীমিত। কাজেই অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমরা কোথায় কি গাছ রোপণ করবো। বর্ষায় পানি জমে থাকে না, পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যের আলো পাওয়া যায় এবং গাছ রোপণ উপযোগী মাটির গভীরতা পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এমন জায়গা গাছের চারা রোপণ করার উপযোগী।
আমাদের পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয়চাহিদা পূরণের উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ আমরা রোপণ করবো। পুষ্টির চাহিদা অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা নানান ধরনের ফলের গাছ রোপণ করবো, কাঠের জন্য বনজ ও ফলজ উভয় প্রকার গাছই উপযোগী। আবার খড়ির জন্য দ্রুত বর্ধনশীল গাছ বেছে নিতে হবে। ভূমির ক্ষয় রোধের জন্য ঘন ক্যানোপি ও ঘন শিকড়ওয়ালা গাছ এবং নদীভাঙ্গন রোধের জন্য গভীর শিকড় সম্পন্ন গাছ উপযোগী। মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির জন্য বাতাস থেকে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করতে সক্ষম এবং ঘন পত্র-পল্লব বিশিষ্ট গাছ নির্বাচন করা প্রয়োজন।
বাড়ির কিনারায় ও পশ্চাৎ আঙ্গিনায় গাছ রোপন
আমাদের বাড়ির পরিবেশ আরামদায়ক, আর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত করে গড়ে তোলার জন্য যথাস্থানে যথোপযুক্ত গাছ লাগানো প্রয়োজন। বাড়িতে রোপণের জন্য ফল গাছ, মশলাও ঔষধি গাছ অগ্রাধিকারপাবে। তবে, সারা বছর ধরে পুষ্টিকর শাক-সবজি উৎপাদনের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। বসতবাড়ির ধারে এবং আশপাশের পতিত জমিতে বিভিন্ন ফলের গাছ রোপণ করে আমাদের পুষ্টি চাহিদা অনেকটাই পূরণ করতে পারি। তাছাড়া দ্রুতবর্ধনশীল গাছ লাগিয়ে গ্রামাঞ্চলে জ্বালানি কাঠের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ফল গাছের মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, আমলকি, আমড়া, কামরাঙ্গা, কুল, জাম, নারকেল, ডালিম, পেঁপে, লেবু, বাতাবি লেবু, জলপাই, জামরুল, বেল, কথবেল, লটকন, সফেদা, কমলা, কলা, গোলাপজাম, খেজুর, অরবরই, আতা, শরিফা, চালতা, তাল, বিলাতি গাব, তেঁতুল ইত্যাদি নির্বাচন করা যেতে পারে।
ঔষধি গাছের মধ্যে নিম, তুলশি, বাসক, আমলকি, বহেরা, হরতকি, অর্জুন, ডালিম, বরই, বকফুল, ডুমুর, সজনে, অশ্বথ্থ, অশোক, হিজল, মেহেদি, আকন্দ, কামরাঙ্গা, কালোজাম, আমড়া, তেঁতুল, নারকেল, গাব, বাবলা, সুপারি, চিরতা, কালোমেঘ, অর্শগন্ধা, শিমুল, পলাশ বিশেষ অবদান রাখে।
মশলা জাতীয় গাছের মধ্যে তেজপাতা, গোলমরিচ, মরিচ, আদা, হলুদ, রসুন, পেঁয়াজ উপযোগী।
বাড়িতে বৃক্ষ রোপণের সময় দক্ষিণ ও পূর্ব পার্শ্বে অপেক্ষাকৃত খর্বাকৃতির এবং যেসব গাছের ডাল-পালা কম হয় সেগুলো নির্বাচন করতে হবে যাতে খোলামেলা বাতাস সহজেই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। উত্তর পার্শ্বে অপেক্ষাকৃত উঁচু প্রকৃতির গাছের চারা এবং পশ্চিম পার্শ্বে মাঝারি আকৃতির গাছ লাগানো উপযোগী। বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে পেয়ারা, ডালিম, লেবু, পেঁপে, ধরনের গাছ রোপণ করা যেতে পারে। এছাড়া দু’একটা নিম গাছ রোপণ করলে স্বাস্থ্যকর বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া যায়। ছায়াযুক্ত জায়গায় আদা, হলুদের চাষ করা যেতে পারে। বাড়ির গেটে কিছু বাহারী গাছ রোপণ করে বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধন করা যায়। খুব গুরুত্ব দিয়ে একটি কথা বলতে চাই তা হলো, প্রতিটি বাড়িতে যেন অন্তত: একটি আমলকি, একটি নিম এবং কয়েকটি সজিনা গাছ অবশ্যই লাগানো হয়।
চারা নির্বাচন
বৃক্ষ রোপণের সময় ফলজ চারা রোপণের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। বিশ্বস্ত নার্সারি থেকে সঠিক জাতের, সঠিক বয়সের, রোগ-জীবানুমুক্ত উন্নত গুণমান সম্পন্ন চারা সংগ্রহ করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হরটিকালচার বেস/নার্সারি, উপজেলা নার্সারি, বিএডিসি নার্সারি, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নার্সারি এবং বিশ্বস্ত অন্য যে কোনো নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
রাস্তার ধারে বৃক্ষ রোপন
রাস্তার কিনারায়-অষ্ট্রেলিয়ান একাশিয়া, মিন্জরি, অঢ়হর, বাবুল ইত্যাদি বনজ গাছ রোপণ করা যেতে পারে। রাস্তার ঢালুতে- রিভার রেড গাম (ইউকেলিপটাস কেমালডুলেনসিস), ইপিল ইপিল, খয়ের ইত্যাদি উপযোগী বৃক্ষ। অপরপক্ষে রাস্তার পাদদেশে- বকফুল, মেনজিয়াম, জাতকরই ইত্যাদি রোপণ উপযোগী। রাস্তার ধারে জাম, আমলকি, তেঁতুল ধরনের ফল বৃক্ষের চারা এবং সব্জি ও ঔষধীর জন্য সজনে গাছের ডাল রোপণ করা যেতে পারে।
পুকুর পাড়ে বৃক্ষ রোপন
পুকুর পাড়ে নারিকেল, তাল, খর্বাকৃতির ফলগাছের চারা রোপণ করা যেতে পারে। পুকুরের কিছু অংশে জাংলা দিয়ে লতাজাতীয় সব্জির চাষ করা যায়।
নদীর তীরে বৃক্ষ রোপণ
নদীর তীরের পতিত জায়গা’র সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নদী ভাঙ্গন রোধে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই। নদীর তীরে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত বর্ধনশীল বৃক্ষের চারা রোপণ করে নদী ভাঙ্গন তাৎক্ষনিকভাবে রোধ করার জন্য স্বল্পকালীন পদক্ষেপ নেয়া যায়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি নদী ভাঙ্গনরোধ –এর ব্যবস্থা হিসেবে গভীর মূল সম্পন্ন দীর্ঘজীবী বৃক্ষের চারা রোপণ করা প্রযোজন।
চরাঞ্চলে বৃক্ষ রোপণ
চরাঞ্চলে ঝাউ জাতীয় গাছের চারা রোপণ করে এবং ধৈঞ্চা বীজ বপন করে মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়া যায়। এছাড়া কলা গাছ রোপণ করে বাড়তি পুষ্টি ও আর্থিক আয়ের ব্যবস্থা করা যায়। বন্যার সময় কলা গাছের ভেলা চরের বাসিন্দাদের জরুরি বাহন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঠের চারিপার্শ্বে বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করা প্রয়োজন যাতে সহজেই পুষ্টিকর ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত: কয়েকটি আমলকির গাছ থাকা প্রয়োজন। এতে শিশুদের কাছে ভিটামিন ‘সি’ সহজলভ্য হবে কারণ, আমলকি ভিটামিন ‘সি’ –এর রাজা।
ফলের একক বা মিশ্র বাগান স্থাপণ
পারিবারিক চাহিদা, জমির প্রাপ্যতা এবং বাজারদর বিবেচনা করে ফলের একক বা মিশ্র বাগান স্থাপন করা যেতে পারে। আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত বৃক্ষ রোপণ –এর উপযুক্ত সময়। এই সময়কালের প্রথম দিকে আম, কাঁঠাল, লিচু, ডালিম, নারিকেল, গোলাপজাম, পেয়ারা, লেবু, সুপারি, কমলা, বেল, বাতাবিলেবু, জলপাই, আমলকি, আমড়া, কামরাঙ্গা, করমচা, আতা, শরিফা, চালতা, আনারস, লটকন, জামরুল, ডুমুর, ডেইয়া, কাজুবাদাম, তাল ও খেজুর এর চারা রোপণ করা যায়। মধ্য শ্রাবণ থেকে মধ্য ভাদ্র পর্যন্ত কুলের চারা এবং আশ্বিন-কার্তিকে পেঁপে ও কলার চারা লাগানো যায়।
ফুলবাগান
বৃক্ষ রোপণ-মৌসুমের প্রথমদিকে রঙ্গন, মোসান্ডা, নয়নতারা, সন্ধ্যামনি, কামিণি, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, টগর, ক্যানা, বোতামফুল, বেলী ইত্যাদি ফুলের চারা রোপণ করা য়ায়। বাহারি গাছের মধ্যে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পাতাবাহার, উইপিং দেবদারু, কৃষ্ণচূড়া লাগানো যায়।
গাছের চারা রোপণ ও পরিচর্যা পদ্ধতি
আমরা গাছের চারা রোপণ করে তা থেকে সুফল ভোগ করতে চাই। রোপিত চারা যেন মরে না যায় সে জন্য যথাযথ পদ্ধতিতে চারা রোপণ করতে হবে এবং তার পরিচর্যা নিতে হবে। এ ব্যাপারে নিম্নের বিষয়গুলোর প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন-
ক) সঠিক জাতের, সঠিক বয়সের, রোগমুক্ত সতেজ চারা সংগ্রহ করতে হবে।
খ) গর্ত খনন ও জৈব সার প্রয়োগঃ জাত ভেদে পরিমিত আকারের গর্ত খনন করতে হবে এবং ভালভাবে পঁচানো আবর্জনা বা গোবর সার চারা রোপণের অন্তত: ১৫ দিন আগে গর্তের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
গ) রাসায়নিক সার প্রয়োগঃ প্রতিটি গাছের জন্য কতকগুলো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন। এসব অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানের কতকগুলো বেশি পরিমাণে ও কতকগুলো অল্প বা অতি অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়। তবে প্রয়োজন কম হোক বা বেশি হোক, এদের যেকোন একটি খাদ্য উপাদানের অনুপস্থিতিতে গাছ তার জীবন চক্র সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয় ফলে আমরা তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হই। অতি অল্প পরিমাণে প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান সাধারণত: জৈব সারের মাধ্যমে গাছ পেয়ে থাকে। তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে যেসব খাদ্য উপাদান প্রয়োজন সেগুলো রাসায়নিক সারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। সাধারণত: নাইট্রোজেন: ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম সালফেট ইত্যাদির মাধ্যমে, ফসফরাস: টিএসপি, ডিএপি ইত্যাদির মাধ্যমে, পটাশ: মিউরেট অব পটাশ এর মাধ্যমে, সালফার: জিপসাম, অ্যামোনিয়াম সালফেট ইত্যাদি রাসায়নিক সারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। ইউরিয়া বাদে অন্য সারগুলো জৈব সার প্রয়োগের সময়ই গর্তের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হয়।
ঘ) সেচ প্রদানঃ চারা রোপণের পর পরই গর্তের মাটি হালকাভাবে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দিতে হয়। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকদিন পর পর হালকা সেচ দিতে হয়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/২১জুলাই২০