গাজর খাওয়ার উপকারিতা

316

শীতের সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি। এ সবজিতে আছে বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা গাজর, সালাদ, জুস বা তরকারিতেও খাওয়া যায়। চোখ, ত্বক, চুল ও শরীরের নানা অঙ্গের জন্য গাজরের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি গাজর। হালুয়া, সালাদ কিংবা রান্না ছাড়াও কাঁচা খাওয়া যায়। এ সবজি খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

# গাজরে ক্যালরির পরিমাণ কম। ১৫০ গ্রাম ওজনের দুটি বড় মাপের গাজরে থাকে ৬০ ক্যালরি। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘কে’, প্যানটোথেনিক এসিড (বি৫), ফোলেট (বি৯), পটাসিয়াম, আয়রন, তামা বা কপার ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে

# গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। এ ক্যারোটিনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি ভিটামিন ‘এ’তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিনটি চোখ ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে

# গাজরের ক্যারোটিনয়েড ভেঙে শরীরে চর্বির সঙ্গে মিশে যায়। যকৃৎ থেকে নিষ্কৃত পিত্তরস ভালোভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। ফলে যকৃতের বর্জ্য দূর হয়; যকৃৎ সুস্থ রাখে

# ফুসফুস ও প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়

# দাঁতের সুরক্ষায় গাজর খেতে পারেন

# গাজরে থাকা আলফা ক্যারোটিন হৃৎপিণ্ড সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবজিটি রাখতে পারেন

# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গাজরের জুড়ি মেলা ভার

# স্থূলতা রোধে বেশি করে গাজর খান, উপকৃত হবেন

# গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল চুল পড়া কমায়। এমনকি চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে

# সুন্দর ত্বকের জন্য গাজর খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ব্রন ও চামড়া ঝুলে পড়া রোধ করে

# গাজর দিয়ে তৈরি করতে পারেন মজার খাবার। হালুয়া, সেমাই, লাড্ডু, জুস, মার্মালেড, কুনাফা, চিপস, চাটনি, কেক, স্যুপ, জর্দা, পুডিং প্রভৃতি বেশ মজার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে কাঁচা গাজর খাওয়াই উত্তম।