গাভীর খামার ব্যবস্থাপনায় যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে

305

গাভী পালনে খামার ব্যবস্থায় যেসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হয় সেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

খামারের গাভীর জাত নির্বাচনঃ
খামার স্থাপনে অধিক উৎপাদনশীল জাতের গাভী প্রধান ভুমিকা পালন করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের গাভী খামারে লালন পালন করতে দেখা এগুলোর মধ্যে হলস্টিন ফ্রিজিয়ান ক্রস, শাহীওয়াল ক্রস ও জার্সি ক্রস জাতের গাভী দ্বারা খামার স্থাপন করা লাভজনক। এ সকল গাভী অধিক দুধ উৎপাদন করে থাকে।

খামারের স্থান নির্বাচনঃ
খামারের ১০টি গরুর জন্য ৩০০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন হবে। গরুর ঘর থেকে ২০ থেকে ২৫ ফুট দূরে একটি ছোট ডোবা থাকবে যাতে সেখানে গরুর মল-মূত্র ফেলা যায়। এছাড়াও মল মুত্র থেকে জৈব সার ও বায়ো গ্যাস উৎপাদনের জন্য বায়ো গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে খামারের বর্জ ব্যবস্থাপনা করা যায়।

গাভীর শেড নির্মাণঃ
খামারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাভীর জন্য শেড নির্মান করতে হবে। গাভীর শেড পূর্ব – পশ্চিমে লম্বা হলে ভাল হয়। উপরে টিন অথবা ছনের ছাউনি দেওয়া যেতে পারে। শেডের নিকটস্থ গাছ ও ডালপালা কেটে ফেলে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। শেডে পানীয় জলের সরবরাহ ও পয়ঃ নিস্কাশনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে।

গাভীর খাদ্যঃ
কাঁচা ঘাস গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য। এ ছাড়াও চালের কুড়া, গমের ভুষি, খেসারি ভুষি, ভুট্টা ভাঙ্গা, মুশুর, মুগ, মটরের ভুষি তিলের খৈল, তিষির খৈল, ধানের খড়, ভুট্টার খড় ইত্যাদি গাভীর খাদ্য হিসাবে ব্যাবহার করা হয়। এছাড়াও গাভীকে আঁশ ও দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২১ আগস্ট ২০২১