গর্ভকালীন সময়ে ও বাচ্চা প্রসবের পর সাধারণ এই রোগটি বেশি দেখা যায়।
জরায়ু বের হওয়ার কারণ
১।গাভীর শরীল দূর্বল ও অপুষ্টিতে ভোগলে এবং শরীলে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস এর ঘাটতি থাকলে জরায়ু বের হয়।
২।গর্ভকালীন সময়ে গাভীকে পরিমাণ মতো কাঁচা ঘাস না খাওয়ালে এই রোগ হতে পারে।
৩।গাভীর থাকার পিছনের জায়গা অধিক পরিমাণ ঢালু হলে সেখানে গর্ভকালীন গাভী দীর্ঘ দিন থাকলে এই রোগ দেখা দেয়।
৪।জরায়ুতে অধিক পরিমাণ চর্বি হলে সমস্যা টি হতে পারে।
৫।গর্ভকালীন সময়ে বা বাচ্চা প্রসবের পর গাভী ঘন ঘন কোথ দিলে ও জরায়ু বের হতে পারে।
৬।বাচ্চা প্রসবের সময় বাচ্চা অাটকে গেলে এলোপাতাড়ি ভাবে বাচ্চা কে টানাটানি করে বাচ্চা প্রসব করালে উক্ত সমস্যা টি দেখা দিতে পারে।
৭।বাচ্চা বড় হয়ে গেলে অথবা বাচ্চা প্রসব করানোর বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা নেই তেমন লোক দ্বারা বাচ্চা প্রসব করালে সমস্যা টি হতে পারে।
জরায়ু বের হওয়ার লক্ষণ
১।গর্ভকালীন সময়ে গাভী যখন শুয়ে থাকে তখন জরায়ু সামান্য বা আংশিক কিছু টা অংশ বের হতে দেখা যায়।
২।গাভী শুয়ে থাকার পর উঠে দাঁড়ালে আবার ভিতরে চলে যায়। দাঁড়ানো অবস্থায় জরায়ু কমই বাহির হয়ে থাকে।
৩।বাচ্চা প্রসবের পর ঘন ঘন কোথ দিলে ও জরায়ু বাহির হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
১।গর্ভকালীন সময় থেকে গাভীর যত্ন নিতে হবে।
৩মাস গর্ভকাল থেকেই গাভীকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ঘাটতি যেন না থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে।
২।ক্যালসিয়ামের অধিক ঘাটতি থাকলে অভিক্ত ভেটেরিনারিয়ন দ্বারা বা প্রাণী চিকিৎসক দিয়ে শিরায় ক্যালসিয়াম দিতে হবে।
৩।নিয়মিত গর্ভবতী গাভীকে সুষম খাবার ও কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে।
৪।গাভীর থাকার জায়গা বা শেড বা মেঝে পিছনের দিক অধিক বেশি ঢালু যেনো না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।
৫।যখন গাভীর বাচ্চা হওয়ার ব্যাথা শুরু হবে তখন খেয়াল রাখতে হবে,যাতে করে গাভী একা একা জোরে জোরে কোথ দিয়ে বাচ্চা প্রসব না হয়।
৬।অভিজ্ঞ লোক দ্বারা বাচ্চা প্রসব করাতে হবে।
চিকিৎসাঃ
মনে রাখতে হবে, জরায়ু বের হয়ে গেলে দ্রুত অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ন এনে জরায়ু পরিস্কার করে ভিতরে ঢুকাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে।
আর অবহেলা করলে গাভী মারাও যেতে পারে।
আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে সহজ ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করছি,আশা করি কথাগুলো একটু খেয়াল রাখলে উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০২মার্চ২০