দুগ্ধ জ্বরের শিকার হয়ে অনেক খামারিই ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ সময়ে কী করবেন অনেকেই বুঝতে পারেন না। এ অসুখ হলে লক্ষণ কী তাও অনেকে শুরুতে টের পান না। গাভীর দুগ্ধ বা দুধ জ্বর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও চিকিৎসা পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
গাভীর দুগ্ধ জ্বর প্রসবের সাথে সম্পর্কিত একটি বিপাকীয় রোগ। সাধারণত, অধিক দুগ্ধ দানকারী গাভী প্রসবের পর পরই এ রোগে আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ: আক্রান্ত পশু কিছু খেতে চায় না মাথা স্থির রাখতে পারে না। জিহ্বা বের হয়ে আসে। পরবর্তিতে গাভী বুকে ভর দিয়ে শুয়ে পড়ে। মাথা একপাশে কাঁধের উপর ফেলে রাখে। গাভী চৈতন্য হারিয়ে ফেলে এবং অবশেষে মারা যায়।
করণীয়: গর্ভবতী গাভীকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। প্রসবকালীন শেষ মাস থেকে গাভীর খাদ্যে পরিমিত অনুপাতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি এর সরবরাহ করতে হবে। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসায় তাৎক্ষনিকভাবে রোগ নিরাময় হয়।
চিকিৎসা: ক্যালসিয়াম ইনজেকশন রোগের তীব্রতা ও পশুর ওজন অনুযায়ী শিরায় প্রযোগ করতে হবে। তবে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে গাভীর পরিচর্যা করলে দ্রুত সুফল পাওয়া যাবে। সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৮জানু২০২০