গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ক্ষতির মুখে কৃষকরা

310

600
এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ থেকে : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অবৈধভাবে প্রভাবশালী কর্তৃক বালু উত্তোলন করায় জমির মালিক ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জমির মালিকরা।

অভিযোগে প্রকাশ, কাশিয়ানী উপজেলার বেথুড়ী গ্রামের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সেলিম মোল্যা দীর্ঘ দিন ধরে রামদিয়ার বিল, লক্ষ্মীডাঙ্গার বিল ও দক্ষিণডাঙ্গার বিলে তার নিজস্ব এবং সরকারি ভিপি জমি থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লাখ লাখ ঘন ফুট বালু উত্তোলন করছেন। এসব বালু রাস্তার কাজে ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। এতে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ও কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ফসলি জমি ভেঙে পুকুরে পরিণত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও তা মানছেন না ক্ষমতাশালী বিএনপি সেলিম মোল্যা। ফলে দিন দিন বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বেথুড়ী গ্রামের সিরাজ খন্দকার, বাশার খন্দকার, লায়েকুজ্জামানসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক জানান, তাদের জমি ঘেঁষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা জমি ভেঙে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। বার বার নিষেধ করলেও প্রভাব খাটিয়ে তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে নিয়মবহির্ভুতভাবে ভূ-গর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।

পরিবেশকর্মী বিধান টিকাদার বলেন, ‘ভূ-গর্ভস্থ থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভূ-গর্ভে গভীর খাদের সৃষ্টি হতে পারে। যার কারণে ভূমিকম্প প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই ভূ-গর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও অনুচিত।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সেলিম মোল্যা বলেন, আমি আমার নিজেস্ব জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এ এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি এবং সেখানে লোক পাঠিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে পুনরায় বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন