গোপালগঞ্জে আশা চিনাবাদামের বাম্পার ফলন

382

আশা চিনাবাদাম

এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা: গোপালগঞ্জে পারটেক্স এগ্রো লিমিটেডের আশা চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় এ জাতের বাদাম ১২ মন উৎপাদিত হয়েছে।

প্রচলিত জাতের তুলনায় আশা চিনাবাদাম দ্বিগুন ফলন দিয়েছে। এ বাদাম আবাদ করে কৃষক লাভবান হয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে পারটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড আয়োজিত মাঠ দিবস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। পারটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার আকরাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. লিয়াকত হোসেন, পারটেক্সের ডিলার এনায়েত মিনা, পারটেক্সের সেল্স অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, কৃষক ছিকু মোল্লাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

কৃষক ছিকু মোল্লা বলেন, আমি এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় ১২ মণ বাদাম ফলেছে। প্রচলিত জাতের বাদাম প্রতি বিঘায় মাত্র ৭ থেকে ৮ মণ ফলে। এক বিঘায় বাদাম চাষে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার টাকা। আশা করছি বাদাম বিক্রি করে বিঘা প্রতি ১৬ হাজার টাকা লাভ হবে। আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুকূলে থাকলে আশা চিনাবাদামের ফলন আরো বেশি পেতাম। আমার ক্ষেতের বাদাম দেখে অনেকেই এ বাদাম চাষের আগ্রহ দেখিয়েছে।

পারটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার আকরাম খান বলেন, আশা চিনা বাদাম আরো বেশি ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের বীজে অপচয় ও চিটা কম হয়। বীজ ভালো গজায়। গাছ মারা যায় না। খোসার মধ্যে বাদামের আকার প্রচলিত বাদামের থেকে বড়। তাই এ বাদাম আবাদ করে কৃষক লাভবান হয়েছেন। আগামীতে গোপালগঞ্জে এ জাতের বাদাম চাষ সম্প্রসারিত হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুকূলে ছিলনা। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়েও গোপালগঞ্জে পারটেক্সের আশা চিনা বাদাম ভালো ফলন দিয়েছে। এটি কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

Rafid

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন