গোপালগঞ্জে বোরো মৌসুমে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন

103

চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ মেট্রিকটন বোরো ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এবছর গোপালগঞ্জে চালের উৎপাদন ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পাবে।
আর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৬৫৩ হেক্টরে । গত মৌসুমে আবাদ হয়েছিলো ৮১ হাজার ২২৯ হেক্টরে। সেই হিসেবে এ বছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২৪ হেক্টরে।
গত বছরের চেয়ে এ বছর ২ হাজার ৫২ টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অফিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, চলতি সৌমুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৫৮ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ২০ হাজার ৯২৮ হেক্টরে। বেড়েছে ৩০ হেক্টরে। মুকসুদপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৩ হেক্টরে।গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ২৯১ হেক্টরে। বেড়েছে ৩৩২ হেক্টরে। কাশিয়ানী উপজেলায় চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৮৮০ হেক্টরে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১১ হাজার ৭২৫ হেক্টরে। বেড়েছে ১৫৫ হেক্টরে। কোটালীপাড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে ২৬ হাজার ৬১৭ হেক্টরে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ২৬ হাজার ৪২০ হেক্টরে। আবাদ বেড়েছে ১৯৭ হেক্টরে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৫৭৫ হেক্টরে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৮৬৫ হেক্টরে। টুঙ্গিপাড়ায় আবাদ কমেছে ২৯০ হেক্টরে। তারপরও জেলায় মোট আবাদ বেড়েছে ৪২৪ হেক্টরে। এতে গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে বলে আশা করছি ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ সার প্রদান করা হয়। প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছে। সব মিলিয়ে গোপালগঞ্জে চার্গেটের চেয়েও ৪২৪ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গত কারণেই গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষককে এ ব্যাপারে সহায়তা, পরামর্শ, প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা এটিকে কাজে লাগিয়ে ধানের আবাদ বৃদ্ধি করেছে। এ কারণে এ উপজেলায় প্রায় ১৪৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।