গোমাস্তাপুরে (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ধানক্ষেতে পোকা দমনে ব্যাপক পার্চিং ব্যবহার

325

[su_slider source=”media: 3432,3433,3434″ title=”no” pages=”no”]

তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এবার ১৪,৫৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ১২৫ হে. জমি বেশি। উপজেলায় এবারের লক্ষমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১৪,৪৪৫ হেক্টর। বর্তমান মাঠ ফসলের অবস্থা খুবই ভালো। বোরো কার্যক্রমকে জোরদার করার জন্য চাষি পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা বিভিন্ন ব্ল­কে ৯০টি বোরো প্রদর্শনীপ্ল­ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি প্রদর্শনীপ্ল­টের পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। প্রকল্পের অর্থায়নে প্রতি প্ল­টের কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনীর জন্য রাসায়নিক সারসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষক প্রশিক্ষণে কৃষকদের সুস্থ-সবল ও নিরোগ ফসল উৎপাদনে বোরো জমিতে অনিষ্টকারি পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ক্ষেতে ডালপালা, ধৈঞ্চা গাছ, বাঁশের আগা বা কঞ্চি পুঁতে পোকা খাদক পাখি বসার ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন জানান, উপজেলা বাঙ্গাবাড়ি,আলীনগর,পার্বতীপুর, বোয়ালিয়া, রহনপুর, চৌডালা, গোমস্তাপুর, রাধানগরসহ ৮টি ইউনিয়ন ও রহনপুর পৌরসভার বিস্তীর্ণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় উচ্চ ফলনশীল এবং হাইব্রিড জাতের আবাদ হয়েছে। সরেজমিন ও কৃষি কর্মকর্তার পরিসংখ্যান অনুযায়ি আবাদকৃত বোরো ক্ষেতে কৃষকেরা এবার কৃষি বান্ধব পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রদর্শনীপ্লটসহ ৯০% বোরো জমিতে জীবন্ত ও ডেড পাচিং করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত বোরো চাষে ৩ শত ৫৮টি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকুপ, ৪২টি অগভীর নলকূপ ও ১ শত ৭টি এল.এল.পি. অবিরামভাবে চালু রয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৫টি এল.এল.পি এবং ১ হাজার ৫ শত ৯৫টি অগভীর ডিজেল চালিত নলকূপ বোরো চাষে ব্যবহার হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল ও বিদ্যুৎ’র ঘাটতি না হলে এবং প্রাকৃতিক দুযোগ না ঘটলে কৃষকেরা এবার আশানুরূপ বোরোর ফলন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃষি অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, এ বছর বোরোতে বিভিন্ন জাতের ৩২০ হেক্টর হাইব্রীড ধানের আবাদ হয়েছে। চারা রোপণের পর নিয়মানুযায়ি গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়েছে। ইউরিয়া সারের অপচয় রোধে ২৫০ হে. জমিতে এল.সি.সি. ব্যবহার করে ইউরিয়া সার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ৩০টি গ্রুপে ভাগ করে কষকদের প্রশিক্ষণ ও ২৫০টি এল.সি.সি প্ল­স্টিকস্কেল সরবরাহ করা হয়েছে।