ঘরে মুরগির খাদ্য তৈরির নিয়ম

167

ঘরে খাদ্য তৈরির নিয়ম

গম বা ভুট্টাকে প্রথমে মিলিয়ে ভেঙে নিতে হবে। খৈলকেও (সরিষা বা সয়াবিন) ভালোভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে। খাদ্য উপকরণ মাপার পাল্লা ব্যবহার করতে হবে। খাদ্য তৈরির জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে।

>প্রথমে গম বা ভুট্টা মেপে মেঝেতে ঢালতে হবে।

>তারপর চালের মিহিকুঁড়া ও গমের ভুসি, ভুসির ওপর শুঁটকি মাছের গুঁড়া, তার উপর খৈল ও সয়াবিন মিল ঢালতে হবে।

> এভাবে সবগুলো উপকরণ ঢালার পর খাদ্যের স্তূপটিকে একটি পিরামিডের মতো দেখা যাবে।

>এবার ঝিনুকের গুঁড়া, হাড়ের গুঁড়া ও লবণ ওই পিরামিডের ওপর ছিটিয়ে দিতে হবে।

>এবার আধা কেজি খাদ্য আলাদা করে নিয়ে তার মধ্যে ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স উত্তমরূপে মেশাতে হবে।

>এরপর মিশ্রিত ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স পিরামিডের ওপর সমস্ত খাদ্য ছিটিয়ে দিতে হবে।


>সয়াবিন তেল দেওয়ার দরকার হলে তা পিরামিডের চারদিকে ঢেলে দিতে হবে।

>এবার খাদ্যে স্তূপটির ভেতরে বারবার হাত ঢুকিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালো ভাবে উলট পালট করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রিত এ খাদ্য বাদামি রঙের দেখাবে।

অবশ্য হাঁস-মুরগির জন্য বর্তমানে বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাদ্য বাজারে পাওয়া যায়। এসব খাদ্য অত্যাধুনিক ফিড মিলে তৈরি করা হয়। পাখির বয়স ও উদ্দেশ্য অনুসারে বাজারে ম্যাশ (পাউডার), ক্র্যাম্বল (দানা) ও পিলেট (বড়ি) আকারের খাদ্য বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৪ নভেম্বর, ২০২২