ঘেঁটু বা ভাঁট উদ্ভিদের ব্যবহার ও উপকারিতা

1711

ঘেটু

এই উদ্ভিদে শীতের শেষের দিকে ফুল ফোঁটে এবং গরমকালে ফল ধরে। গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ হলেও উচ্চতায় প্রায় চার ফুট পর্যন্ত হয়। অযত্নে বেড়ে ওঠা এই গাছে ফুল অনেকের দৃষ্টি আকর্ষন করে। এই গাছের পাতা, মূল ব্যবহার করা হয় পেটের অসুখ, চর্মরোগ ইত্যাদি রোগের ঘরোয়া ভেষজ ওষুধ হিসাবে।

ক্রিমি: এ গাছের পাতার রস খুবই তিতা স্বাদের হয়। চিরতার পরিবর্তে এর রস ব্যবহার করলে ক্রিমি মরে যায়। যদি পেটে ছোট ছোট ক্রিমি হয়, তাহলে মলদ্বার দিয়ে পিচকারি দিলে সব ছোট ক্রিমি মরে যায়।

কাঁকড়া কামড়ে: এ গাছের পাতা এবং ফুল শিল দিয়ে সামান্য পানি সাথে বেটে দশংনের জায়গায় প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমবে এবং বিষও বিনষ্ট হয়ে যাবে।

ম্যালেরিয়ায রোগে: এ রোগে বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের খুবই ভালো কাজ দেয়। দিনে তিনবার টাটকা পাতার রস ২ চামচ করে খাওয়াতে হবে।

টিউমারের জন্য: ঘেঁটুর মূল বেটে টিউমারের ফোলা অংশে ভালোভাবে প্রলেপ দিয়ে তার ওপর কাপড়ের ফালি জড়িয়ে রাখা দরকার। কিছুদিন নিয়ম করে প্রয়োগ করতে হবে।

চর্মরোগে: দেহের যে কোন চর্মরোগে ঘেঁটু পাতাকে থেঁতো করে রাতে শোয়ার সময় প্রলেপ দিয়ে পরিষ্কার পাতলা কাপড়ের ফালি ছিড়ে বেঁধে দিতে হবে। এরকম চার পাঁচ দিন করলেই চর্মরোগ সেরে যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্যে: ঘেঁটু পাতার রস ৩০ মি.লি. পরিমাণ সকালে খালিপেটে খেলে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে এ পরিমাণ বয়স্কদের জন্যে। শিশু অথবা বালক বা অল্প বয়স্কদের এর অর্ধেক পরিমাণ একইভাবে খাওয়াতে হবে। গাছের ডালের ওপরের দিকের কচি পাতা সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে শিলে সামান্য পানি দিয়ে বেটে রস বের করা দরকার।

পেটের ব্যথায়: পেটে মল জমলে অথবা দীর্ঘদিন ধরে বদহজমে ভুগলে মাঝে মাঝে পেটে যন্ত্রণা করে। ঘেঁটুর মূলের ৫ থেকে ৭ গ্রাম পরিমাণ রস এক গ্লাস ঘোলের সাথে মিশিয়ে খেলে যন্ত্রণা থাকে না।

উকুন মারতে: গোসল করার তিন ঘণ্টা আগে টাটকা ঘেঁটু পাতার রস মাথায় ভালোভাবে মাখলে উকুন মরে যায়। তবে নিয়ম করে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করা দরকার।

শক্তি বৃদ্ধিতে: দীর্ঘ রোগ ভোগের পর শরীর দুর্বল হলে ঘেঁটুপাতার রস রোজ তিন থেকে চার চামচ পরিমাণ খেলে শরীরে দ্রুত পূর্বের বল ফিরে আসে।

সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোনো ভেষজ ওষুধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ