চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ২ মাসব্যাপী মাছ ধরা নিষিদ্ধ

567

মাছ-দরা

চাঁদপুর: জেলার পদ্মা-মেঘনায় বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) থেকে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ দু’মাস ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

জাতীয় মৎস্য সম্পদ ইলিশ মাছ ও এর পোনা জাটকা রক্ষা কল্পে সরকার মার্চ-এপ্রিল দু’মাস চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে এবং সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১ মার্চ থেকে চাঁদপুরের ষাটনল হতে হাইমচর উপজেলার চরভৈবরীর শেষ প্রান্ত চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত প্রায় একশত কিলোমিটার নৌ-পথে কোনো জাল ফেলে মাছ আহরণ করা যাবে না।

২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল এ দু’মাস ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রি এবং মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়। আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদন্ডসহ অর্থ জরিমানা।

এ নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জেলেদের নিয়ে অবহিত করণ সভা, সেমিনার, মিটিং, মাকিং করে সবাইকে সতর্ক করে অবহিত করেছে।

জেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মল জানিয়েছেন, অভয়াশ্রম কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

মার্চ ও এপ্রিল এ দু’মাস জেলেরা যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য সরকার ফেব্রুয়ারি থেকে মে ৪ মাস পর্যন্ত প্রত্যেক জেলেকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করে আসছে। ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের চাল নদী তীরবর্তী উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বাকি জানান, চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর উপজেলা, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ এবং হাইমচর উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন সরকারি তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছেন। তারা সরকারি চাল সহায়তা পাবেন। জেলেরা আইন অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করতে নামলে শাস্তি ভোগ করতে হবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন