চাঁদপুর: চাঁদপুর নৌ থানা কর্তৃক পরিচালিত জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের ২৬ দিনে এখন পর্যন্ত ৬৯ জেলে আটক হয়েছে। যাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড দেয়া
চাঁদপুর নৌ থানা সূত্র জানা যায়, এবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা ও মেঘনা অভয়াশ্রমে সব ধরণের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই সাথে এ সময় সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রয়ও নিষিদ্ধ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও নদীতে চলছে জাটকা নিধন।
তাই অসাধু জেলেদের থেকে জাটকা রক্ষা করতে চাঁদপুর নৌ থানা কর্তৃক নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পহেলা মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ থানার জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের তথ্যে ৬৯ জন জেলে আটক হয়েছে।যাদের মধ্যে ৬৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তবে এর মধ্যে ৫৮ জনকে ১ বছর, ২ জনকে ২ বছর এবং ৬ জনকে ১ মাস করে ম্যাজিস্ট্রেট এসে ভ্রাম্যমান কোর্টে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এছাড়া বাকি ৩ জনের থেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, আটক এসব জেলেদের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫শ’ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এর সাথে ২ হাজার ১’শ ৫৬ কেজি জাটকা ইলিশ আটক করা হয়েছে। তবে এ মাছের মধ্যে প্রায় ১’শ কেজি বড় মা ইলিশও ছিলো।
চাঁদপুর নৌ থানা ওসি মো. আবু তাহের খান জানান, দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় পিছিয়ে নেই চাঁদপুর নৌ থানা।আমরা চাঁদপুর নৌ এসপির নির্দেশে জাটকা সংরক্ষণে প্রতিনিয়ত অভিযান করছি। এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধ-শতাধিক জেলেকে জালসহ আটক করতে পেরেছি। আটকদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
সেই সাথে এ সময় জালে যে পরিমাণ জাটকা ইলিশ ছিল। সেসবও মোবাইল কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় ও বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা এবং জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নদীতে যাওয়ার জন্য আটক এসব জেলেরা যেই ইঞ্জিন চালিত নৌকা ব্যবহার করতো। এমন প্রায় ১৩টি নৌকাও আমরা এখন পর্যন্ত আটক করতে পেরেছি।তাছড়াও জাটকা সংরক্ষণে আমরা মৎস বিভাগ, জেলা প্রশাসন, নৌ বাহিনী সকলে সমন্বয় করেও কাজ করছি।দেশের ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি রক্ষা করতে নদীতে আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন