[su_slider source=”media: 4497,4498,4499,4500″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]
তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের (এনসিডিপি’র) আওতায় চাঁপাইগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলায় মনামিনা কৃষি খামারের ২ বিঘা জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে বারি মাল্টা-১ জাতের ২০০টি চারা রোপণ করে সফল হয়েছেন মাল্টা চাষি মতিউর রহমান। চারা লাগানোর ২ বছর পর গত বছর গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। প্রথম ফলনেই সাফল্য পান মতিউর রহমান। গাছ প্রতি সর্বোচ্চ ৪০টি করে ফল উৎপাদন হয়। এবার ব্যাপক মাল্টা ধরেছে বাগানে।
গত বছর মাল্টার রঙ ছিল কিছুটা সবুজ। ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মুন্জুরুল হুদা ও জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. শামস্-ই তাবরিজ মতিউরের মাল্টা বাগান পরিদর্শন করেছেন। কর্মকর্তাগন বাগানের মাল্টা ফলে মাছি পোকার আক্রমণ রোধে ফ্রুট ব্যাগিং করার পরামর্শ প্রদান করেছেন। ফল ধরার শুরুর থেকে এবার প্রায় ফলে ফ্রুট ব্যাগিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বাগানের ফলগুলো এবার হলুদ রঙ ধারণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
মতিউর রহমান জানান, কৃষি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষনিক পরামর্শ; নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সঠিক পরিচর্যায় এবার একেকটি গাছে দু’শতটির অধিক মাল্টা ধরেছে, যা সেপ্টেম্বরের সংগ্রহ করে তা বাজারজাত করা যাবে। তিনি আরো জানান, গত বারের মাল্টা ফলগুলো ছিল দারুণ রসালো এবং বাজারে আমদানিকৃত যে কোনো মাল্টার চেয়ে বেশি মিষ্টি। তার নিরলস প্রচেষ্টায় মাল্টা চাষের কৌশল ছড়িয়ে পড়েছে বরেন্দ্রের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বরেন্দ্র অঞ্চল ধান ছাড়া তেমন কিছু হতো না, সেখানের রুক্ষ লাল মাটিতে মাল্টা ফল বাগানের পাশাপাশি আম, পেয়ারা, লিচু, লেবু,সফেদাসহ প্রায় ১২ রকমের ফল গাছ রোপণ করে সেখানে একটি খামার গড়ে তুলেছেন। খামারের নাম দিয়েছেন ‘মনামিনা কৃষি খামার’। তার খামারে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা ও মাল্টার চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। তার সাফল্য অনুসরণ করে দূর-দুরন্তের এলাকার অনেকে মাল্টা ফল চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এবার তিনি আরো একশত বিঘা জমিতে মাল্টার চারা রোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত বছর তিনি বৃক্ষরোপণে ব্যক্তি পর্যায়ে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। ঢাকাস্থ কৃষি বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ‘মনামিনা কৃষি খামার’ ও মাল্টা বাগান পরিদর্শন করে বাগানের মাল্টা ফলকে এ অঞ্চলের একটি সম্ভাবনাময় ফল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।