চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ

305

[su_slider source=”media: 3918,3919″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

তুষার কুমার সাহা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে গত ০২ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইফতেখার উদ্দিন’র এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মহসিন আলী মিয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ ড. মোঃ সামস্-ই তাবরিজ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রণোদনার বীজ ও সার যেন সঠিকভাবে ব্যবহার হয়, সেদিকে কৃষকভাইদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে প্রযুক্তি সেবাদানের পাশাপাশি চাষিদের পাশে থেকে কাজ করার জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের আহবান জানান। বিশেষ অতিথি নেরিকা সম্পর্কে বলেন, এটি উচ্চফলনশীল জাত। এতে রোগ-পোকার আক্রমণ কম হয়। সময়মতো পরিচর্যা নিলে ফলনও ভালো পাওয়া যায়। সভাপতি বলেন, নেরিকা জাতের চাল বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে উদ্বৃত্ত চাল বিদেশে রপ্তানি শুরু করেছে। কাজেই উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের নেরিকা চাষে লাভবান হওয়া চাই। এ ব্যাপারে এর চাষাবাদ কৌশল সম্পর্কে চাষিদের পরামর্শ প্রদানের জন্য তিনি উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। স্বাগত বক্তব্যে সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের উফশী আউশের জন্য ২০৩০ জন ও নেরিকা জাতের জন্য ৫০ জন মোট ২০৮০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুসারে প্রত্যেক কৃষকের ১বিঘা জমিতে উফশী আউশের জন্য ৫ কেজি বীজ এবং নেরিকার ক্ষেত্রে প্রতি ১বিঘার জন্য ১০ কেজি বীজ এবং বিঘা প্রতি ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক কৃষককে সেচ সহায়তাদানে উফশী আউশের জন্য ৪ শত টাকা এবং নেরিকা জন্য ৮ শত টাকা করে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাসহ তিনশতাধিক ক্ষুদ্র ও প্রানিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।