চামড়ার দাম নির্ধারন

945

%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%9c%e0%a6%be

গরু প্রতি বর্গফুট ৫০, খাসি ২০ টাকা
ফার্মস এন্ড ফার্মার ২৪ নিউজ ডেস্ক: সরকারি নির্দেশনা মেনে চামড়া ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের মূল্য নির্ধারন করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার দাম ঘোষনা করেছে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট তিন ব্যবসায়ী সংগঠন।

এবার প্রতি বর্গফুট লবনযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০টাকা ধরা হয়েছে। আর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ২০টাকা এবং বক্রির চামড়া ১৫টাকা ধরা হয়েছে। বিএফএলএলএফইএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন এই দাম ঘোষনা করেন। এবার মহিষের চামড়ার দাম কেন নির্ধারন করা হয় নাই জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মহিষ খুব একটা জবাই হয় না। তারপরও যা আসবে প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা দরে কেনা হবে। কোরবানির পশুর চামড়ার পাঁচ বছরের দাম বিশ্লেষন করে দেখা যায়, এটাই সর্বনিন্ম দাম নির্ধারন যা গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।

ধানমন্ডির একটি রেষ্টুরেন্টে ট্যানারি মালিকদের তিন সংগঠন বাংলাদেশ প্রস্তুত চামড়া, চামড়া পণ্য ও জুতা রপ্তানিকারক সমিতি (বিএফএলএলএফইএ), বাংলাদেশ ট্যানার অ্যাসোসিয়েশন(বিটিএ) এবং কাঁচা চামড়ার আড়তদার সংগঠন বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।

এ তিন সংগঠনই গত বছর কোরবানির আগে প্রতি বর্গফুট লবনযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারন করেছিল। আর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা এবং বক্রির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা করেছিল। যদিও গত বছরের গরুর চামড়া নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি। প্রতি বর্গফুট চামড়া তখন বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। ২০১৪ সালে ঢাকায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় ও ঢাকার বাইরে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আর খাসির চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও বক্রির চামড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ দরে ঢাকায় গরুর চামড়া ৮৫ থেকে ৯০ এবং ঢাকার বাইরে ৭৫ থেকে ৮০টাকা। আর খাসির চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং বক্রির চামড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারন করা হয়েছিল।

চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশ থেকে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়।এর অর্ধেকের বেশি আসে কোরবানির ঈদের সময়। এবার কোরবানির ঈদে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর চামড়া পাওয়া যাবে।