চিংড়ি মাছের যেসব রোগ হতে পারে ও তা প্রতিরোধের উপায়

185

 

পুকুর বা ঘেরের চিংড়ির অস্বাভাবিক আচরণ দেখলেই বুঝতে হবে রোগাক্রান্ত হয়েছে। বেশি পরিমাণে পোনা মজুদ, অতিরিক্ত খাদ্য ও সার প্রয়োগ, কম গভীরতা, উচ্চতাপ, হঠাৎ করে লবণাক্ত কম-বেশি হওয়া ইত্যাদি অসহনীয় পরিবেশের কারণেই এসব রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাই জেনে নিন এসব রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়—

 

চিংড়ি মাছের রোগের লক্ষণ

 

১. চিংড়ি পুকুরের পাড়ের কাছে বিচ্ছিন্ন ও অলস অবস্থায় ঘোরা-ফেরা করলে।

২. খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিলে বা একেবারে বন্ধ করলে, খাদ্যনালী শূন্য থাকলে।

৩. ফুলকায় কালো বা হলদে দাগ পড়লে বা অস্বাভাবিক রং দেখা দিলে।

৪. চিংড়ি মাছের ফুলকায় পচন ধরলে।

৫. মাছের পেশী সাদা বা হলদে হয়ে গেলে।

৬. চিংড়ির ‘খোলস’ নরম হয়ে গেলে।

৭. হাত-পা বা মাথার উপাঙ্গ ও গেতে পচন ধরলে।

৮. চিংড়ির খোলস এবং মাথায় সাদা সাদা দাগ হলে।

৯. চিংড়ি হঠাৎ বা ধীরে ধীরে মারা গেলে।

 

প্রতিরোধের উপায়

 

১. চিংড়ি ঘেরের আকার ছোট করুন।

২. ঘেরে আলাদা নার্সারির ব্যবস্থা করুন।

৩. পোনা মজুদ একর প্রতি ৩-৪ হাজারের মধ্যে রাখুন।

৪. ঘেরভুক্ত আলাদা নার্সারিতে চিংড়ি পোনা ২-৩ সপ্তাহ প্রতিপালন করুন।

৫. প্রতিপালনের পর চাষের ঘেরে নালা কেটে বের করে দিন।

৬. প্রস্তুত করার সময়ে পরিমিত চুন (শতাংশে ১ কেজি) প্রয়োগ করুন।

৭. চাষের সময় পানি বদলের পর প্রতি শতাংশে ৫০-১০০ গ্রাম কার্বনেট চুন দিয়ে শোধন করুন।

৮. ঘেরের পানির গভীরতা কমপক্ষে ৩-৪ ফুট রাখুন।

৯. ১৫ দিন বা একমাস অন্তর অন্তর ঘেরের বর্জ্যপানি বের করে নতুর পানি দিন।

১০. রাক্ষুসে মাছ, কাঁকড়া ও অন্যান্য চিংড়িভুক প্রাণি নিয়ন্ত্রণ করুন।

১১. খামার জলজ আগাছামুক্ত রাখুন।

১২. বাঁশের কঞ্চি, গাছের শুকনা ডালপালা দিয়ে আশ্রয় করে দিন।

১৩. কোনো সমস্যা দেখলে নিকটস্থ মৎস্য কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করুন।