চুয়াডাঙ্গায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

315

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে সামার ওয়াটারমেলন (গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ)। আসন্ন রমজান মাসের শুরুতেই এই রসালো ফল সামার ওয়াটারমিলন বাজারজাত করা সম্ভব হবে। কৃষকরাও ভালো বাজার দর পাবে এমন আশা নিয়ে আগাম চাষ করা ফসলের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ জেলায় ৮২ হেক্টর জমিতে সামার ওয়াটারমেলন (গ্রীষ্মকালীন তরমুজ)-এর আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম এ তরমুজ লাগানো হয়ে গেছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ২শ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বিঞ্চপুর গ্রামের বাজারপাড়ার মহিউদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম জানান, তিনি এবার আগাম ৩ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজের আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে তার তিন বিঘা ক্ষেতের ফসলের ফুলে ফল আসতে শুরু হয়েছে। এতে তার প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। রমজান মাসে পানি জাতীয় এই ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকে এবং বাজার দরও ভালো থাকে। সে কারণে ভালো বাজার পাবার আশায় তিনি আগাম এই চাষ করেছেন। রমজানের শুরুতে তার তরমুজ বাজারজাত করতে পারবেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাজার দর ভালো পেলে তিনি ৬ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন।

একই গ্রামের মৃত্যু রহিম বক্সের ছেলে ফড়িং একই কথা বলেন, তিনি ৪ বিঘা জমিতে আগাম চাষ করেছেন। আরো ১২ বিঘা জমিতে চাষ করার লক্ষ্যে জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে গাছ লাগানো শুরু করবেন।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান জানান, সামার ওয়াটারমিলন অল্পদিনের (৬০ দিন) ফসল। সাধারণত এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে রোপণ করার উপযুক্ত সময়। এখানকার মাটি এ ফল চাষের জন্য উপযোগী। এটি একটি লাভজনক ফসল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাজার দর ভালো পেলে চাষিরা ভালো লাভবান হবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন