চুয়াডাঙ্গা: জেলায় গ্রীষ্মকালীন দুটি জাতের তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষকরা। দুটি জাতের চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে তরমুজ চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ জাতের তরমুজ মাচায় চাষ করতে হয়। দেশে তরমুজের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা তরমুজ চাষ করছেন। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের ওপরের রং হলুদ ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজের ওপরের রং গাঢ় সবুজ। দুটি জাতের তরমুজের ভেতরের রং গাঢ় লাল ও খেতে বেশ সুস্বাদু।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষকরা মাঠে অন্য ফসলের চাষ বাদ দিয়ে তরমুজ চাষ করছেন। এ গ্রামের প্রতিটি মাঠে মাচায় ঝুলছে তরমুজ। জেলার অন্য উপজেলায়ও কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। গ্রীষ্মকালীন এ জাতের তরমুজ কৃষকরা মাচায় চাষ করে। চাষের দুই মাস পর গাছে ফল ধরতে শুরু করে। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের চাহিদা বেশি। গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ প্রায় ৫০-৬০ কেজি দরে বিক্রি হয়। আর ব্লাক প্রিন্স তরমুজ ২৫-৩৫ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হয়।
এলাকার কৃষকরা বলছেন, বাজার দর ভাল থাকলে তরমুজ চাষ করে প্রতি বিঘায় প্রায় ১ লাখ টাকা মতো লাভ হয়। তরমুজ চাষে কোন লোকসান হয় না।
গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম জানান, চাষের দুই মাস পর ফল পাওয়া যায়। খরচ তুলনা মুলক কম হওয়ায় লাভ বেশি।
নূননগর গ্রামের কৃষক জালাল বলেন, গ্রামের অনেক বেকার যুবক তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। গ্রামের দৃশ্য পাল্টে গেছে। অনেক জেলার কৃষকরা তরমুজ চাষ সম্পর্কে আমাদের কাছে জানতে আসে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবায়ের মাশরুর জানান, তরমুজ চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ তরমুজ মাঁচায় চাষ করতে হয়। এ তরমুজ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৫শ বিঘা জমিতে বেশি তরমুজ আবাদ হচ্ছে। হলুদ রং এর তরমুজের চাহিদা বেশি। বাসস।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন