চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের এ মৌসুমে আখ মাড়াই উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল কমপ্লেক্সের ডোঙায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম।
মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন উপলক্ষে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল কমপ্লেক্সের আয়োজনে কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) আতাউর রহমান খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান প্রমুখ।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোখসানা মিতা, কেরু চিনিকল কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ এবং আখচাষি আব্দুল বারি।
অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আখ উৎপাদনকারী আমচাষি শামীম হোসেনকে পুরস্কৃত করার পর দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষে হয়।
চিনিকল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ চলতি মৌসুমে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির নিজস্ব জমিতে দণ্ডায়মান আখ আছে ১ হাজার ১৫৩ একর এবং সাধারণ চাষিদের রয়েছে ২ হাজার ৬৪৯ একর আখ। এ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৫০ থেকে ৫৫ মাড়াই কার্য দিবসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণ ৬ দশমিক ২০ ভাগ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল কমপ্লেক্স একটি ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম চিনিকল। তবে উপজাত হিসেবে এই কারখানা থেকে মদ উৎপাদিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ মদ বিক্রির রেকর্ড করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যগুলো হলো চিনি, মদ, জৈব সার, চিটাগুড় ও মণ্ড। এই শিল্প কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত লোকসান গুনে আসছিল। সরকারিভাবে চিনির মূল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে মিলটিতে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। লোকসান কমানোর জন্য নেয়া হয়েছে নানা মুখী পদক্ষেপ।