চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “সরকারের ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উন্নত গবেষণা কার্যক্রম ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে হবে। বাংলাদেশ একটা দ্রুতবর্ধনমান উন্নয়নশীল দেশ। দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন-নতুন গবেষণার মাধ্যমে দেশের সঙ্কট নিরসনে ও জনকল্যাণে অবদান রাখতে হবে৷ তবেই দেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। চুয়েট প্রতি বছরই নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করে যাচ্ছে। এতে করে, আমাদের শিক্ষকদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সাথে যেমন কোলাবোরেশন বাড়ছে, তেমনি স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গবেষণার অগ্রগতি, সর্বশেষ তথ্য ও জ্ঞানের বিনিময় হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে এগুলো আমাদের আরও শাণিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
তিনি আজ ৮ই সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ২০২৩ খ্রি. সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় চুয়েটের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দুইদিনব্যাপী ৫মবারের মতো “টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তির জন্য পদার্থবিজ্ঞান” (5th International Conference on Physics for Sustainable Development & Technology; ICPSDT-2023) শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হামদর্দ বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ও চুয়েটের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রশীদ। এতে সভাপতিত্ব করেন টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের টেকনিক্যাল সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. এইচ.এম.এ.আর. মারুফ। কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী বিদেশিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. সুশান্ত লাহিড়ী, প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব, প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, ড. হিরোমিতসু হাবা। সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিমেষ চক্রবর্তী।
“উদীয়মান ভবিষ্যতের জন্য পদার্থবিজ্ঞান” (Physics Research for Emerging Future) এই থিমের উপর আয়োজিত এবারের কনফারেন্সে ৪টি কী-নোট স্পিস, ১৪টি ইনভাইটেড স্পিস, ১৪টি টেকনিক্যাল সেশনে ১১২টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং ১টি পোস্টার সেশনে ৫৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। এতে কম্পিউটেশনাল ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স, অ্যাটমোস্ফিয়ারিক ফিজিক্স ও ন্যানো ফিজিক্স প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। কনফারেন্সে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, ভারত, জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের কয়েকশত শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, প্রফেশনাল এবং উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা বসে।
কনফারেন্সের সমাপনী দিনে পৃথক দুটি কী-নোট সেশন, ৫টি টেকনিক্যাল সেশন এবং “৪র্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য টার্শিয়ারি পর্যায়ে বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা” শীর্ষক প্যানেল আলোচনা ও একটি পোস্টার সেশনে ৫৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে “বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড” প্রদান করা হয়। এবারের কনফারেন্স আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল- একিউসি গ্রুপ, ইন্টারসায়েন্স, তানিয়া, ইস্টার্ন রিফাইনারি, টেকনো-ওর্থ, পলি ক্যাবলস, এনভায়োটেক কর্পোরেশন, জে-ইস ও হাইটেক।