চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুইদিনব্যাপী ‘ইলেকট্রিক্যাল সার্জ’ উৎসব শুরু

108

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে “ইলেকট্রিক্যাল সার্জ ২.০” (Electrical SURGE 2.0) শিরোনামে দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ৯ই নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ২০২৩ খ্রি. সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় উৎসবের প্রথমদিনে ইইই বিভাগের সামনে থেকে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএমই ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও গোল চত্বর হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। পরে স্বাধীনতা ভাস্কর্য চত্বরে বেলুন উড়িয়ে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এরপর সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, মালেয়শিয়ার ইউকেএম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নওশাদ আমিন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। ইইই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইইই ডে-২০২৩ এর আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। ‘১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাহমুদ সাদি, উমামা জান্নাত ও রাদিকা জাহানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মুইন মুসতাহসিন প্রীতম ও রিফা নাওয়াল খান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। এবারের ইইই ডে এর সহ-আহ্বায়ক ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আমরা এখন ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের পথে হাঁটছি। বিশ্ব এখন ডিজিটাল টেকনোলজি ও স্মার্ট টেকনোলজির দিকে ঝুঁকছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণদেরকেও এসব প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। চুয়েটের শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছো। কর্মক্ষেত্রে তোমাদের দক্ষতা দেখাতে হবে। চুয়েটের সুনাম বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এখন তোমাদের। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে বিভিন্ন সফট স্কিল আয়ত্ত্ব করে নিতে হবে। দক্ষতা থাকলে পুরো পৃথিবী তোমার হাতের মুঠোয়। সেভাবেই নিজে গড়ে তুলতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরা হতে হবে একেকজন দক্ষ সেনাপতি। তবেই বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।”

পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে “টেসেরাস” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়। এছাড়া উৎসবের প্রথম দিন বেলা ১১.০০ ঘটিকায় “এক্সপ্লোরিং দ্যা হরিজোনস অব দ্যা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলুশন: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড এডভান্সড টেলিকমিউনিকেশনস ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” (Exploring the Horizons of the 4th Industrial Revolution: AI and Advanced Telecommunications in Electrical Engineering) শীর্ষক একটি টেকনিক্যাল সেশন এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট-আপ অনুষ্ঠিত হয়। দুইদিনব্যাপী ইইই ডে-এর অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয়দিনে থাকছে কুইজ প্রতিযোগিতা, সার্কিট অলিম্পিয়াড, হেকাথন, রোবো সকার সেশন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।